বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লালমনিরহাট জেলায় সরকারের বিভিন্ন  উন্নয়নের সাফল্যের চিত্র 

লালমনিরহাট জেলায় সরকারের বিভিন্ন  উন্নয়নের সাফল্যের চিত্র 
মোঃ লাভলু শেখ লালমনিরহাট থেকে।।
 আ’লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। পরপর টানা ৩ বারের মতো বর্তমানেও ক্ষমতায় আ’লীগ সরকার। একটানা ক্ষমতার ১৪ বছর পেরিয়ে ১৫ বছরে পদার্পণ করেছেন।
স্বাধীনতা অর্জনের ৫১ বছরের ইতিহাসে কখনোই কোন সরকার টানা প্রায় ১৫ বছরে এতোটা উন্নয়ন করেনি লালমনিরহাট  জেলায়, যতোটা উন্নয়ন করেছে আ’লীগ সরকার। ওই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে রূপকল্প প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। গত প্রায় ১৫ বছর দেশের সার্বিক উন্নয়নের কারন হিসাবে দেখা যায় সুপরিকল্পিত রূপকল্প প্রণয়নের পশ্চাতে বঙ্গবন্ধু’র কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও দার্শনিক অভিপ্রায়ই ছিল সক্রিয়।
লালমনিরহাট জেলায় শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন বিদ্যমান রয়েছে। তিস্তা নদীর উপর তিস্তা শেখ হাসিনা সড়ক সেতু ও শেখ হাসিনা দ্বিতীয় সড়ক সেতু (মহিপুর) নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ
রংপুরের সঙ্গে এই জেলার দূরত্ব প্রায় ১২ কিঃমিঃ কমে গেছে।  সদর উপজেলার  কুলাঘাটে ধরলা নদীর উপর শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ এ জেলার সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার ক’য়েকটি উপজেলা সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্হা স্থাপন হয়েছে। এছাড়াও জেলায় অসংখ্য ছোট-ছোট ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
শিক্ষা খাতে এ জেলায় উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, বর্তমানে ১ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, ৩৫ টি কলেজ, ১৬৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪৩ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৮ টি মাদ্রাসা, ৭৫৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সিভিল এ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিভিল এ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়) বর্তমানে প্রাইমারী শিক্ষকদের ট্রেনিং-সেন্টারের জন্য পিটিআই চালু হয়েছে, বেকারদের কর্মসংস্হান সৃষ্টির জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন কোর্সে ট্রেনিং করানো হচ্ছে লালমনিরহাটে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ৬ শত একর জমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
পিপিআই প্রজেক্টের অধীনে ডায়াবেটিক ১ শত শয্যার আধুনিক হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ ও হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। সেখানে স্বল্পখরচে জেলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় আধুনিকরণ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৮ তলা আধুনিক ভবন। সরকারী নার্সিং ইনস্টিটিউট চালু হয়েছে। অক্সিজেন গ্যাসের মজুদ প্লান্ট নির্মাণ করে করোনাকালীন সময় থেকে তা চালু করা হয়েছে। তাছাড়াও জনগণের দাড়গোরায় ডিজিটাইজেশন কর্মসূচীর মাধ্যমে ই-সেবাসমূহ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তির অবসান ঘটেছে। জমা-জমির খারিজ সহ সকল ভূমি সেবা এখন সল্প সময়ের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে সকল জনগন।
লালমনিরহাট জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় অসংখ্য সিট মহলের জনগন যুগের পর যুগ অসহায় এবং সুবিধা বঞ্চিত ছিল। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারতো না। বর্তমান সরকারের আমলে ৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আলোকে ১১১ টি ভারতীয় ছিটমহলের ভূ-খন্ড এখন হয়েছে এ দেশের সম্পদ। সুবিধাবঞ্চিত এসব বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী এখন সমৃদ্ধি অর্জনের পথে। এ জেলায় স্বাক্ষরতার হার ৫১% থেকে ২০℅ এ নেমেছে। জেলার কালীগঞ্জে বিশেষায়িত ১ শত শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
লালমনিরহাট হতে সরাসরি ঢাকা যাতায়তের জন্য আধুনিক নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে, জেলার প্রতিটি থানায় অফিসারদের (ওসি) নতুন পিকআপ ও টহল ভ্যান বাড়ানো হয়েছে, প্রায় প্রতিটি সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয়ে সরকারীভাবে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়াও এ জেলায় ৬ টি তৈরি হয়েছে মডেল মসজিদ গত প্রায় ১৫ বছরে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তা অসম্ভাবীয়।
আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সকল প্রকার দূনীতি ও অনিয়মের অবসান ঘটেছে। চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাস-রাহাজানিতে জনজীবন অতিষ্ঠ ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে জেলার মানুষ শান্তিতে জীবন-যাপন করছেন।
গত কয়েক বছর থেকে জেলা পুলিশের নিয়োগ সচ্ছতায় স্হান পেয়েছে। এতে করে সুযোগ পাচ্ছে দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্যর উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকলে তবে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
লালমনিরহাট আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা সারাদেশের উন্নয়নের ন্যায় এ জেলায়ও যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি যা চারিদিকে দৃশ্যমান। এই উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে সামনে মোগলহাট স্হল বন্দর চালুকরণ, বিমান ঘাটিকে বিমান বন্দরে রুপান্তরিত ও জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং তিন বিঘা করিডোর এক্সপ্রেস চালু করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন