হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : পটুয়াখালীর বাউফলে তাকিয়া (১৮) নামে এক গৃহবধূরর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন স্বামী। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। তাকিয়া সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ে। মো. মিরাজ হোসেন বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস এলাকার ফজলু গাজীর ছেলে। প্রায় ১ বছর হলো তাদের বিয়ে হয়েছে। তাকিয়ার ভাবী ঝুমুর বলেন, বিয়ের পর থেকে তাকিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত মিরাজ। যৌতুকের জন্য তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলত তাকে। গত তিন দিন ধরে তাকিয়াকে প্রচুর মারধর করে মিরাজ। বিষয়টি মোবাইলে তাকিয়া তার ছোট ভাইকে জানায়। এরপর মঙ্গলবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে তাকিয়ার অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়। পরে বেলা ১১টায় তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জোর করে তার স্বাক্ষর নেন কয়েকজন যুবক। এরপর হনুফা বেগমকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছেন। এরপরই তাকিয়ার স্বামী মিরাজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুর খবর জেনে মা হনুফা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাউফল হাসপাতালের এক নার্স বলেন, তাকিয়ার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকিয়ার মা হনুফা বেগম বলেন, মিরাজ মাদকাসক্ত। সে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। অবশ্য মারধর করে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাকিয়ার শ্বশুর ফজলু গাজী। বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।