বুধবার, ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পুরোপুরি বিধ্বস্ত ৬৫০ বাড়িঘর, আংশিক ৩১০০

পুরোপুরি বিধ্বস্ত ৬৫০ বাড়িঘর, আংশিক ৩১০০

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : বরগুনার তালতলীতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রিমাল। গত সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি এ উপকূল অতিক্রম করে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসলীলা চালায়। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘরবাড়ি, দোকানপাট তছনছ করেছে। টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয় গ্রামের পর গ্রাম। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এখানকার বাসিন্দাদের। পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, রিমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে উপজেলা ৩ হাজার ৭শ ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩,১৩২টি ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৫০টি বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা।

এ ছাড়া প্রায় শতাধিক গ্রাম ৪ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘেরে। ৮০ হেক্টর ফসলি জমি ও ৩৫০ হেক্টর সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২৭ লাখ গ্রাহক। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সরেজমিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা উপজেলা প্রশাসন কেটে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হলেও ৭২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে এলাকাবাসী। এতে এ উপজেলার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়াও রান্নাবান্নার কাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারছে না।

ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন বলেন, এই এলাকার প্রায় ৩শ এর বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানকার জেলে পরিবারগুলো এখনো খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। তাদের পরিস্থিতি এখন মানবেতর।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এ উপজেলা সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে এ সব ক্ষতির তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন