রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লালমনিরহাটে পল্লী চিকিৎসক শ্বাসরোধ করে হত্যা : স্ত্রী-মেয়ে গ্রেফতার

লালমনিরহাটে পল্লী চিকিৎসক শ্বাসরোধ করে হত্যা : স্ত্রী-মেয়ে গ্রেফতার

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : লালমনিরহাটে পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২২ মে বুধবার রাতে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃর্ত স্ত্রী মাধবী রাণী (৪৫) ও তাপসী রাণী (মেয়ে) (২৫) কে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সেন ওই গ্রামের মৃত হেমন্ত সেনের ছেলে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী মারা যান ১৯৯৮ সালে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাধবী রানী সেনকে। ২০১২ সালে নিহতের প্রথম স্ত্রীর সন্তান প্রশান্ত ও প্রদীপকে বাড়ি থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এরপর দুই ভাই কোনদিনই আর বাড়িতে ফিরতে পারেননি। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন হরেন্দ্র নাথ সেন। নিজের ছেলে সন্তান না থাকায় সতীনের ছেলেদের বঞ্চিত করে মাধবী রানী সেন কৌশলে স্বামীর কাছ থেকে সব জমি নিজের নামে লিখে নেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মাধবী রানী অন্য আসামিদের সহযোগিতা নিয়ে হরেন্দ্রনাথ সেনকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি ঘরের মেঝের ওপর রেখেছিলেন। এ সময় আসামিরা বাড়ির ভেতর ছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজায় বন্ধ রাখায় গ্রামের লোকজন বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারেননি। এরপর ওইদিন বিকেলে সদর থানা পুলিশ হরেন্দ্র নাথ সেনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দেয় হরেন্দ্রনাথের পুত্র প্রশান্ত সেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিলে ১৩ মে বিমাতা তথা নিহত হরেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় স্ত্রী মাধবী রাণীসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করে। লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসাইনের আদালত ওই দিনই মামলাটি রেকর্ড করে ৫ দিনের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে। আদালত থেকে মামলার কপি পাওয়ার পর বুধবার রাতে মাধবী ও তাপসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার বাদি নিহতের সন্তান প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। দীর্ঘ দিন থানায় গিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ আমার অভিযোগ আমলে নেয়নি। থানায় আইনি সহযোগিতা না পাওয়ায় ৬ মাস পর আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের পিতাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিমাতা ষড়যন্ত্র করে বাবার কাছ থেকে বসতভিটাসহ প্রায় ৭ বিঘা জমি লিখে নিয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ওসি ওমর ফারুক বলেন, গেল বছর ১৩ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া না যাওয়ায় এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি। আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন