একদিনেই এলো ৫৭ টন কাঁচা মরিচ
হিলি প্রতিনিধি: এক দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো ৫৭.টন ২৫০ কেজি কাঁচা মরিচ। আমদানির পরেও দাম কমছে না।এদিকে দেশীয় কাঁচা মরিচ আবারও কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা।খুচরা বিক্রেতাররা বলছেন,আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ হিলি বাজারে না দিয়ে নিজ চালানে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন আমদানিকারকরা।স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ যেই হিলি দিয়েই আমদানি হয়েছে, সেই বন্দরের বাজারেই মিলছে না ভারতীয় কাঁচামরিচ। হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা জানান,কাঁচা মরিচগুলো নিজ চালানে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে ঢাকাসহ অনান্য জায়গার পাইকারি কাঁচা মরিচ ক্রেতারা আগে থেকেই হিলিতে অবস্থান করছিলেন। কোরবানী ঈদের একদিন আগে সোমবার ২৬ জুন ভারতীয় ৫ টি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছিল,সেগুলো ওই দিনই আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬জুলাই) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কাঁচামালের দোকানগুলোতে কাঁচা মরিচ সরববাহ কমেছে। তবে হিলি বাজারের দোকানগুলোতে ভারতীয় আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ দেখা যায়নি। আজ দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল বুধবার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এর কয়েক দিন আগে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ ও শাহিন বলেন,কাঁচা পণ্য সকালে বাড়ে বিকেলে কমে।আমরা বেশি দামে কিনলেই বেশি বিক্রি করি,আবার কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি।সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়। এখন সরববাহ কমে গেছে তাই দাম বাড়ছে। আজ পাঁচবিবি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচের পাইকারি দাম ছিল ২৮০ টাকা। আমরা খুচরা বিক্রয় করছি ৩২০ টাকা কেজি দরে। তিনি আরও বলেন,ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও বাজারে সরববাহ হয়নি।ভারতীয় কাঁচা মরিচ হিলি বাজারে আসলে দাম আরও কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন সোমবার ভারতীয় ৫ টি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন, বুধবার ৫ জুলাই ভারতীয় ৪ টি ট্রাকে ২৯. টন ৯৮০ কেজি,আজ বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই ভারতীয় ৭ টি ট্রাকে ৫৭ টন ২৫০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।