রবিবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পাঁচবিবিতে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করায় কৃষকদের বিক্ষোভ

পাঁচবিবিতে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করায় কৃষকদের বিক্ষোভ
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট ) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজলোর কুসুম্বা ইউনিয়নের হরেন্দা বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালাটি নুর আলম নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে  চলতি মৌসুমে শত শত একর জমির ইরি বোরো ধান ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একারণে গত দুদিনের টাণা বর্ষন ও বাতাসে ক্ষেতের অধিকাংশ ধান পানিতে লুটিয়ে পড়েছে।  কৃষকরা তাদের ক্ষেতের ধান বাঁচাতে গতকাল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডলকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে নুর আলমের সঙ্গে কথা বলে ভরাটকৃত স্থানে নালা খুঁড়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তুু প্রভাবশালী নুর আলম রাতের আধারে আবারও সেই নালা বন্ধ করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে গত  মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  ঐ এলাকার শতাধিক কৃষক মাঠের পানি নিস্কাশনের দাবীতে বিক্ষোভ প্রর্দশণ করেন। পরে সহকারী কমিশনার ভূমি মারুফ আফজাল রাজন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ মন্ডল ঘটনাস্থলে  উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।
সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্দিগ্রাম,গাংগুয়া  ও হরেন্দার আংশকি এলাকার ফসলি মাঠের পানি যুগ যুগ ধরে পাঁচবিবি – কামদিয়া সড়কের উত্তর কোল ঘেঁষা নালা দিয়ে শালাইপুরের পাশ হয়ে  হারাবতী নদীতে নিস্কাশন হতো। কিন্তুু  হরেন্দা গ্রামের প্রভাবশালী নুর আলম হরেন্দা বাজার মসজিদ সংলগ্ন পশ্চিম পাশে (বিদ্দিগ্রাম রাস্তার মুখে ) পানি  নিস্কাশনের একমাত্র নালার কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করেন।  একারনে ঐ সকল মৌজার  মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি  হয়েছে। ফলে কৃষকরা তাদের জমির ধান কাটতে পারছে না। কৃষকদের অভিযোগ সময় মত জমির ধান কাটতে না পারলে জমিতেই ধান নষ্ট হয়ে যাবে। এতে করে তাদের বিশাল অংকের ক্ষতি হবে বলে জানান।
কৃষক রশিদুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন মন্ডল, খলিলুর রহমান বলেন, আমরা বাপ দাদার আমল থেকে দেখে আসছি আমাদের এই এলাকার মাঠের পানি হরেন্দা শালাইপুর রাস্তার পাশ দিয়ে সরকারী নালা দিয়ে হারাবতী নদীতে নেমে যায়। মাস দুয়েক আগে হরেন্দা গ্রামের নুর আলম সেই নালাটি মাটি ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। মাঠে এখন ইরি ধান কাটা শুরু হয়েছ্ েএরই মধ্যে আকাশের বৃষ্টিতে পাকা ধানের গাছগুলো ডুবু ডুবু ভাব। জমিতে পানি থাকায় কামলারা (শ্রমিকরা) ধান কাটতে চাচ্ছে না। কিন্তুু সময়মত ধান কাটা না পারলে লোকসান হবে বলে তারা জানান।
বাক্ষ্রণবাড়িয়া থেকে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য রবিউল মিয়া হারভেষ্টার মেশিন নিয়ে আসেন। কিন্তুু মাঠে জমিতে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তিনি মেশিন নিয়ে অন্য মাঠে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য যাচ্ছেন বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ মন্ডল বলেন, কৃষকদের দূর্দশার কথা চিন্তা করে গতকাল পানি নিস্কাশনের জন্য কৃষকদের সহযোগিতায় নালা বের করে দিয়েছিলাম। কিন্তুু তারা আবার তা বন্ধ করে দেয়। তবে আজ দুপুরে গিয়ে নুর আলমের সঙ্গে কথা বলে ১৫ দিনের জন্য নালা খুড়ে পানি বের করার ব্যাবস্থা করা হয়। সেটি কৃষকের মনমত না হওয়াই সমাধান ব্যর্থ হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন, বলনে,এলাকার চেয়ারম্যান সহ এলাকায়  সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেয়াম্যানকে  পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে । পরবর্তীতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
From
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন