বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বিশাল দেহের সাহেবজাদার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা

বিশাল দেহের সাহেবজাদার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের জুড়ীর রাজা মিয়ার পালিত প্রায় ৩০মন ওজনের বিশালদেহী সাহেবজাদার দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা। নিয়মিত সাহেবদের মতো খাওয়া থাকার ব্যবস্থা রাখতে হয় বলে এর মালিক এর রেথেছেন সাহেবজাদা। সাহেবজাদা নিজের এমন বিশাল দেহ নিয়ে নড়তে চড়তে কষ্ট হয়। অনেক সময় সাহেবজাদাকে সামলাতে ব্যর্থ হন মালিক। তাঁকে সামলাতে প্রয়োজন হয় ৬/৭জন লোক। সাহেবজাদার মালিক জানান, ৭ বছর দরে প্রাকৃতিক ভাবে সবুজ ঘাস খাইয়ে বড় করা হয়েছে সাহেবজাদাকে। এটি পালনে প্রচুর ব্যায়, তাই এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রি করা হবে। জুড়ীর রাজা মিয়ার মতো মৌলভীবাজারর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছোট-বড় ও পারিবারিক খামারে বিভিন্ন সাইজের গরু, মহিষ ও ছাগল পালন করেছেন খামারিরা। এসব পশু আসছে কোরবানি ঈদে বিক্রি করা হবে।
খামারিরা জানান, খামারিদের সাথে আলাপ করলে অনেকেই জানায়, প্রাকৃতিকভাবে সবুজ ঘাস খাইয়ে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। জেলার ছোট-বড় পারিবারিক পশুর খামারে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে এসব পশু বিক্রি করে বাড়তি আয়ের আশা করছেন তারা।
কোরবানির জন্য মৌলভীবাজার জেলায় গরু, ছাগল ও মহিষসহ ৯৬হাজার ৭শত ২৮টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ জেলায় ঘাটতি রয়েছে আরও ২৫হার ৪শত ৪৫টি পশুর। এই ঘাটতি দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আসা পশু দিয়েই পুরন করা হবে।
শ্রীমঙ্গলের খামারী শামীম আহমেদ জানান, পশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কেউ খামার করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। বাজারের গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়াই খরচ অনেক বেড়ে গেছে। হাটে পশুর বাজার ভালো না হলে তাদেরকে লোকসান গুনতে হবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আশরাফুল আলম খান বলেন, জেলার কোনো খামারে রোগবালাই নেই। কৃষকরা যাতে করে ভালো দাম পায়, সে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সকল উপজেলায় আমাদের টিম রয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন