বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিলেন ৪০ লাখ টাকা চুরির পরিকল্পনাকারী

আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিলেন ৪০ লাখ টাকা চুরির পরিকল্পনাকারী

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: লবণে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাঙা পাড়া চৌধুরী পাড়ার এক পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে ৪০ লাখ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরির পরিকল্পনাকারী ওয়াশিম হক ও তাঁর এক সহযোগী আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে দিনাজপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত (ফুলবাড়ী) এর বিচারক মনিরুল ইসলাম এর আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে গ্রেফতার আসামী ও চুরি পরিকল্পনাকারী ওয়াশিম হক ও সোহানুর ইসলাম ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে নিশ্চিত করেছেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানসামা থানার এসআই ইবনে ফরহাদ।

স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায়য় চুরির ঘটনার পরিকল্পনাকারী ওয়াশিম হকের চোরচক্রের সখ্যতা গড়ে উঠে। সেই সখ্যতা থেকে গত ৩ মাস আগে জামিনে বের হওয়ার পরে কারাগারে পরিচয় হওয়া চোরচক্রের সাথে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে চুরির পরিকল্পনা তৈরী করেন ওয়াশিম হক। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এই চক্রের সদস্যরা গত মঙ্গলবার (৪ জুন) উপজেলার ডাঙাপাড়া চৌধুরী পাড়ায় ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাকের রান্নাঘরে লবণ ও হলুদের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে ঐ পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে। এরপরে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষের ড্রয়ার থেকে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি করে মূল পরিকল্পনাকারী ওয়াশিম হকসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। পরে ওয়াশিম হক টাকা সংরক্ষণের জন্য পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করে। স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দির সময় এই চুরির সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম বলেছে ওয়াশিম হক। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা খানসামা থানার এসআই ইবনে ফরহাদ।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারী উপজেলার ৪নং খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া চৌধুরী পাড়ায় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ শুরু করে থানা পুলিশ দ্রুত সময়ে রহস্য উন্মোচন করেছে। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে খামারাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া চৌধুরী পাড়ার মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে ওয়াশিম হক (৩৮), তার শ্যালক গোবিন্দপুর মুন্সিপাড়ার নমির উদ্দিনের ছেলে সোহানুর ইসলাম (২২), ওয়াশিম হকের স্ত্রী মোর্শেদ বেগম ও তার শ্যালিকা পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার খোদ্দ পলাশবাড়ী পূর্বপাড়ার আমিনুল ইসলাম ওরফে সাদ্দামের স্ত্রী মেরিনা বেগম (২৩) কে থানা পুলিশ আটক করে। শনিবার (৮ জুন) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে।

এবিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোজাহারুল ইসলাম বলেন, অভিনব এই চুরির ঘটনার পর থেকেই থানা পুলিশ রহস্য উন্মোচনে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আংশিক ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা উদ্ধার ও জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার ও পুরো চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন