বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রাজারহাটে রাস্তা নিয়ে দুইপক্ষের বিরোধ পুলিশের হস্তক্ষেপে সুরাহ

রাজারহাটে রাস্তা নিয়ে দুইপক্ষের বিরোধ পুলিশের হস্তক্ষেপে সুরাহ
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একটি পাকা রাস্তার মাঝ খানে কেটে কালভার্ট বের করা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়,পরে পরিস্থিতি উত্তেজিত হলে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনা টি ঘটেছে রাজারহাট উপজেলার পাঠানহাট ঈদগা মাঠ হতে কৈলাশ কূটি যাওয়ার একটি পাকা রাস্তা কে কেন্দ্র করে।
গত বৃহস্পতিবার ২৭ জুন দুপুরে এলজিডির শ্রমিকদের দিয়ে ওই রাস্তা কাটা শুরু করেন স্থানীয় সামাজিক সংগঠন রেল নৌ ও গন যোগাযোগ গনকমিটির নেতা খন্দকার আরিফ,হামিদুল ইসলাম সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী। পরে এলাকাবাসী তাদের এই অযোক্তিক জোরপূর্বক কাজে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার তৈরি হয়। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনা স্থলে উভয় পক্ষের কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে পরিবেশ ঠান্ডা করেন।
সাংবাদিকের সরেজমিনের অনুসন্ধানে জানা যায় ২০১৮ সালে এলজিডির অর্থায়নে পাঠানহাট ঈদগা মাঠ হইতে কৈলাশ কুটি গ্রামের অগ্রভাগ পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা লাল মিয়া,মুকুল মিয়া এবং দোকানদার তাজুল ইসলাম সাংবাদিক কে জানান ওখানে কোন কালভার্ট ছিলো না,শুধু ইটের তৈরি একটা পাইপ ছিলো। তখন কালভার্ট করে নাই। এখন এরা এসেছে রাস্তা কাটতে। রাস্তা কাটলে কে ব্রিজ করে দিবে,আর ব্রিজ না হলে কৈলাশ কুটির প্রায় ১৫০০শ মানুষের যাতায়াতের চরম অসুবিধা ভুক্ততে হবে। তাই এলাকাবাসী রাস্তা কাটতে বাধা দেয়।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক কে বলেন, রাস্তা কেটে ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের কোন রকম সরকারী নির্দেশনা ছিলো না। কে বা কারা রাস্তাটি কেটেছে তা আমি জানিনা তবে যারা এই কাজ করেছে তারা গায়ের জোরে করেছে। তবে যেটুকু মাটি তারা গর্ত করে তুলেছে তা ভরাট করে দেওয়া হবে।
রাজারহাট গন কমিটির নেতা খন্দকার আরিফ বলেন, এলজিডির সিও রাস্তা কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে এক মিটিংয়ে এই বিষয় টি উপস্থাপন করলে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী কে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এবং ঘটনাস্থল থেকে আমি ফোনে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল রানাকে অবগত করি এবিষয়ে ওনি সব জানেন, তার প্রমাণ আমার কাছে আছে।
এবিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, ওখানে রাস্তা কাটার বিষয় টা এলজিডির প্রকৌশলী ভালো বলতে পারবেন। আমার কাছে ওখান থেকে একজন ফোন দিয়ে বিষয় টা জানালে আমি নিজে গিয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করি এবং কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তা সবাই কে বলে আসি।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন