সাইবার হিরো রায়হান সর্বসাধারণের রায়হান “কে আছো জওয়ান হও আগুয়ান হাকিছে ভবিষ্যৎ।”
বলছি সুপার হিরো মোঃ সাইদুর রহমান রায়হানের কথা।
রায়হানের পথচলা শুরু হয় ২০২১ সালের ১৭ আগষ্ট। সামাজিক সংগঠন নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স নামে একটি সাইবার সম্পর্কিত সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
তরুণ ক’জন সাইবার এক্সপার্ট যাদের একমাত্র লক্ষ্য সাইবার অপরাধ কমিয়ে আনা জেলাজুড়ে। মানুষের উপকারে সবটুকু বিলিয়ে দেওয়া অন্যদের সম্মান রক্ষার্থে কাজ করা । সমাজে এমন কৈশোরকালে অন্য কিশোর কিশোরীরা সময় অপচয় করতে ব্যস্ত নানান অজুহাতে দেখা যায়। সেই সময়ে রায়হান করিয়ে দেখিয়েছেন অভাবনীয় সব কীর্তি।
নিজের মেধাশক্তি কে শ্রম দিয়ে পরিপূর্ণতা দিয়ে অল্প বয়সেই দায়িত্ব গ্রহণ, মানুষের কল্যাণে দিনে রাতে সমানতালে ছুটে যাওয়া এক সাহসী যোদ্ধা। তার সাহসী কর্মদক্ষতার পরিচয়ের প্রমাণ মিলেছে বহুবার।
২০২২ সালের সাইবার হিরো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩০ হাজার মেধাবীদের মধ্যে রায়হান ২২তম স্থান লাভ করে নিজের প্রতিভার জানান দেয়। সাইবার হ্যারাজমেন্ট, সাইবার ব্যুলিং, ব্ল্যাকমেইলিং ইত্যাদি অপরাধ দমন এবং মানুষকে সাইবার নিরাপত্তা প্রদানসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করাই রায়হান এবং তার সংগঠনের ব্রত।
রায়হান বলেন,” সভ্যতা যতই সামনে এগোচ্ছে ততই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।আর প্রযুক্তির ব্যবহারের সাথে সাথে পাল্লা দিয়েই বেড়ে চলেছে অপরাধ। আমি চাই সাইবার নিরাপদ থাকুক আমাদের সমাজ।
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা বিভিন্ন অনলাইন সাইট ব্যবহারীকারিগণ নিরাপদ ও সামাজিক প্ল্যাটফর্ম উপকৃত হোক স্মার্ট দেশ, স্মার্ট নাগরিক সমাজ গড়ে উঠুক। যদিও কাজটা খুব সহজ না তবে আমি আমৃত্যু চেষ্টা করে যাবো।”
রায়হান নিজেকে শুধুমাত্র অনলাইনে-ই আবদ্ধ রাখে নি। সামাজিক মহৎ কাজ গুলার মাঝে ও সে এগিয়ে চলেছে বহুদূর। শীতবস্ত্র বিতরণ, অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রধান, বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও নেতৃত্ব প্রদান করেছে এই দুর্বার যুবক।
বর্তমান সময়ের অধিকাংশ যুবকই যেখানে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মতো অনলাইন গেইমে বুদ হয়ে রয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে রায়হান সিলেটের বন্যার্তদের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করে ছুটে গেছে সিলেটের অসহায় মানুষদের কাছে৷
তাদের পাশে দাড়িয়েছে নোয়াখালী থেকে সাইবার হিরো রায়হানের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টিম। রায়হানের হাত ধরেই আরো অনেকেই অসাধারণ হয়ে ওঠার চেষ্টায় মানব সমাজের কল্যাণে। রায়হানের হাত ধরেই শতশত কিশোর কিশোরী নাম লিখিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীর খাতায়।
রায়হান বলে,” মানুষের ভালোবাসা ছাড়া কোনোকিছুই সম্ভব না। আমি শুধু চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে দাড়ানোর। আমার আশে-পাশের মানুষ, সংগঠনের সদস্যদের আগ্রহ ভালোবাসা ছাড়া কোনোকিছুই সম্ভব ছিলো না।” রায়হানকে সবাই ভালোবাসবে এটাই স্বাভাবিক। রায়হানকে ভালোবাসার হাজারটা কারণ চোখ বন্ধ করে বলে ফেলা যাবে।
ভালোবাসবে না কেন? এই রায়হান যে সবার বিপদে পাশে দাড়ানো ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারে না কোনোদিন। রায়হান ২০২২ সালে আমার গোলাপ আয়োজিত সেরা উদীয়মান সেচ্ছাসেবী- ২০২২ নির্বাচিত হয়েছেন। এ যেন এক সাধারণ যুবকের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার লাইন-
“আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।”
রায়হান এমনই এক দুঃসাহসিক ছেলে। নোয়াখালীর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত রায়হান। সে নোয়াখালীর মানুষের গর্বের রায়হান। সাইবার হিরো রায়হান হিসেবে মানুষের সেবা করে যেতে চাই।