রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

আদমদীঘিতে দিনে-রাতে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

আদমদীঘিতে দিনে-রাতে লোডশেডিং, অতিষ্ঠ জনজীবন

এএফএম মমতাজুর রহমান
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘিতে ৫০মেগাওয়ার্ড বিদ্যুৎ উৎপাদন পাওয়ার প্লান্ট থাকলেও তা উপজেলা বাসীর কাজে আসছে না। উপজেলাতে বিদ্যুতের চাহিদা ২২মেগাওয়ার্ড উৎপাদন হয় ৫০মেগাওয়ার্ড। অতিরিক্ত থাকে ২৮মেগাওয়ার্ড । তারপরও দিনে-রাতে তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসীর জনজীবন। রোদ ও গরমে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। দিনে এবং রাতের বেলায় একবার বিদ্যুৎ গেলে একঘন্টার আগে আসছেনা। লোডশেডিংয়ের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ও ব্যবসা-বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জনমনে। অব্যাহত এ লোডশেডিংয়ের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দিন বা রাতে একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে সর্বনিম্ন একঘন্টার আগে বিদ্যুৎ আসে না। রবিবার দিবাগত রাত ২টা ১১মিনিটে লোডশেডিং শুরু হয় আর আসে ৩টা ৩৬ মিনিটে। পরের দিন সোমবার দুপুরে ১টা ৮মিনিটে লোডশেডিং শুরু হয় আসে ২টা ৬মিনিটে। গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গ্রহকদের। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা বাড়িতে দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করতেও বেগ পেতে হচ্ছে। আর এ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রিভা আক্তার নামের এসএসসি পরিক্ষার্থীর অভিভাবক আরিফা আক্তার জানান, মেয়ের পরিক্ষা চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে পড়াশোনার বিঘ্ন ঘটে।
সান্তাহারে টেলিকম ও ফোন ফাক্স ব্যবসায়ী দাউদুল হক বলেন, দিনে-রাতে বিদ্যুৎ থাকছেই না। রাতে বিদ্যুৎ গেলে গরমে ঘুম ভেঙে যায়। সোনার বাংলা মার্কেটের বিউটিশিয়ান শাকিলা আক্তার জানান, কাষ্টমারদের সাজানোর সময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এদিকে চাতাল ও অটোমেটিক রাইস মিলে উৎপাদনও বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান মালিকরা।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) সান্তাহার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, গ্যাস–স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। এ কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সান্তাহার অফিসের আওতায় পিডিবি’র ৪৪ হাজার ৯০০জন গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে। এসব গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২২ মেগাওয়ার্ড। কিন্তু সেখানে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ১৬ মেগাওয়ার্ড।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন