শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

পলাশবাড়ীতে দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগানে নাজমার মুখে হাসির ঝিলিক

পলাশবাড়ীতে দৃষ্টিনন্দন ছাদ বাগানে নাজমার মুখে হাসির ঝিলিক
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের বাসিন্দা নাজমা সিদ্দিকা (৪০)। এ শহরে তার বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাগান। ইতোমধ্যে শাক-সবজি ও ফল-ফুলে ভরে গেছে বাগানটি। বাহারি রঙে সেজে ওঠেছে পুরো ছাদ। খানিকটা দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয়, এটি যেন কোনো এক দর্শনীয় স্থান। এমনি এক দৃষ্টিনন্দন বাগান করে হাসি ফুটেছে নাজমার।
ওই বাসার ছাদজুড়ে দেখা গেছে,বাহারি বৃক্ষের সমারোহ। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি, মসলা ও ফলমূল। এসময় পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন নাজমা সিদ্দিকা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজেল হোসেনের স্ত্রী নাজমা সিদ্দিকা। তিনি বসবাস করেন পলাশবাড়ী পৌর শহরের প্রফেসরপাড়ায়। পেশা হিসেবে তিনি একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা । বিভিন্ন টবের মাধ্যমে এবং অন্যান্য পদ্ধততি এই বাগানে লাগানো হয়েছে- মরিচ, টমেটো, পুঁইশাক, চালকুমড়া, আম, মাল্টা, লিচু, ড্রাগন লেবু ও নানা শোভাবর্ধন ফুলসহ প্রায় ২০০ জাতের বৃক্ষ।
পলাশবাড়ী পৌর শহরের বাসিন্দা সাংবাদিক ছাদেকুল ইসলাম রুবেল জানান, নাজমা সিদ্দিকা তার চাকরির পাশাপাশি বেশি সময় দেন ছাদ বাগানে। এ বাগানের পরিচর্যাসহ উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনই তার নেশায় পরিণত হয়েছে। এ থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়েই পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করেন তিনি। ইতোমধ্যে তার ছাদবাগান দেখে আরও অনেকে উৎসাহিত হয়ে উঠছেন। স্বাস্থ্য সচেতনতা নিরাপদ ফল-সবজি প্রাপ্তি সুবিধা নিশ্চিত করণে অনেকেই ছাদে বাগান তৈরি অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। বাগানের গাছপালার সংস্পর্শে এসে বিচিত্র আনন্দের স্বাদগ্রহণ করছে আরও অনেকে। নাজমার পরিকল্পিত একটা সুন্দর ছাদ বাগান করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সারা বছর ধরে পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল-সবজি আহরণ করা হচ্ছে।
বাসার ভাড়াটিয়া ডেইজি বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, নাজমা সিদ্দিকার ছাদ বাগান করেছেন এটি খুবই প্রশসংনীয়। তার এ ছাদে ওঠলেই প্রকৃতি যেন হাত ছানি দিয়ে ডাকে। বাগানের প্রতিটি গাছেই যেন ফল ও ফুলে ভরে গেছে। ছাদজুড়ে মনোরম পরিবেশ মুহূর্তেই যেন মন হারিয়ে যায় দূর অজানায়।
এ বিষয়ে নাজমা সিদ্দিকা জানান, গত ২০০৪ সালে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর থেকে ইচ্ছা ছিল নিজের ভবনে ছাদ বাগান করার। এরপর ২০১৯ সালে নিজের ভবন হওয়ায় সখের বসে ছাদ বাগানটি গড়ে তুলেছেন। এখান থেকে বিষমুক্ত ফুল, ফল, ফসল নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীদের দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে কেউ সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাদ বাগান করলে, সেটি থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারজাত করা সম্ভব।গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, নাজমা সিদ্দিকা একজন কৃষিবান্ধব নারী। মাঠে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করার পাশাপাশি সখের বসে ছাদ বাগান করে অনেকটা সাফল্য।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন