বৃহস্পতিবার, ২২শে আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবীতে মানববন্ধন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবীতে মানববন্ধন

সোহেল সানী : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এলাকার ১২ গ্রামের ১০ হাজার ৪০০ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির আয়োজনে আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বড়পুকুরিয়া বাজারে মানবন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ দাবী মেনে না নিলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কয়লা খনির গেট ঘেরাও কর্মসুচি হাতে নেয়া হবে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী এলাকার আন্দোলনকারীদের সাথে প্রতারণা করেছে। অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনের বক্তব্য রাখেন, জীনব ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ রেওয়ানুল হক ও সংগঠনের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক গোলাম ফারুক, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের ভূমি ও বসবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ রেওয়ানুল হক বলেন, কয়লা খনির কারণে হামিদপুর ইউনিয়নের ১২ গ্রামের ১০ হাজার ৪০০ পরিবারের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমি তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরন দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। এবিষয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে বারংবার অবগত করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে সবগ্রাম গুলির কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকেও অবগত করা হয়েছে। বিষয়টি দেশরতœ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত সমাধান করতে সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
মানববন্ধনে জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে রাতের বেলা ঘুমাতে পারি না। প্রচন্ড ঝাকুনি ও কাপুনি হয়। ইতি মধ্যে কাজীপাড়া, বাঁশপুকুর, মথুরাপুর, বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, পাতিগ্রাম, পাঁচঘরিয়া, চৌহাটি, কালুপাড়া, গোপালপাড়া, কাশিয়াডাঙ্গা ও বৈগ্রাম ১২ গ্রামে ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিপূণের দাবীতে অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায পাওনার দাবী করছি।
৬ দফা দাবী মানবন্ধনে তুলে ধরা রয়েছে দাবীগুলো হচ্ছে, সার্ভেকৃত বসতবাড়ীর ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত প্রদান করতে হবে। মসজিদ, কবরস্থান সহ অধিগ্রহনকৃত জমির বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য বৈদ্যনাথপুর হতে বৈগ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় পাকা করে দিতে হবে। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যোগ্যতা অনুযায়ী ঘর ঘর চাকুরী দিতে হবে। কয়লা খনি কর্তৃক সৃষ্ট পানিয় জলের সংকট দ্রুত নিরোশন করতে হবে এবং অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন বা বসবাসের অওযাগ্য বসতবাড়ী ও স্থাপনার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
ভূমি ও বসবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, কয়লা খনি হওয়ার কারণে প্রায় ১যুগ ধরে এই এলাকার ১২ গ্রামের ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নামে টালবাহানা করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ ঘর-বাড়ীতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, সার্ভে কমিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় গিয়ে তালিকা তৈরি করছে। অতি দ্রুত সময়ে তালিকা চূড়ান্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

 

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন