শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পীরগঞ্জে অপহরণের ঘটনায় আলমগীর বাদশা সহ গ্রেফতার -৩

পীরগঞ্জে অপহরণের ঘটনায় আলমগীর বাদশা সহ গ্রেফতার -৩

 

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে তরিকুল ইসলাম নামের এক কৃষক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুধু হামলাই নয়, তাকে অপহরণেরও চেষ্টা করা হয়। ঘটনাটি বুধবার দুপুরে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের থিরারপাড়া নামক স্থানে ঘটেছে। আহত কৃষক তরিকুল ইসলাম বড় আলমপুর ইউপির তাতারপুর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের পুত্র। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই এজাহার ভুক্ত আসামী আলমগীর বাদশা, সুমন মিয়া, মন্টু মিয়াসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে থিরারপাড়া মৌজাস্থ ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই আগে থেকে ওৎঁ পেতে থাকা আসামাী থিরারপাড়া গ্রামের মৃত আজগার আলীর পুত্র আলমগীর বাদশা (৪৭), নবাবগঞ্জ থানার কড়াইবাড়ী গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (৩৮), থিরারপাড়া গ্রামের আলমগীর বাদশার পুত্র আল নাসিব ফারহান (২০), জাফরপাড়া গ্রামের মৃত আকুব উদ্দিনের পুত্র মন্টু মিয়া (৪৮), বড় ওমরপুর গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের পুত্র মতিয়ার রহমান (৩৮) থিরারপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র ইমরান মিয়া (২০), আকুবের পাড়া গ্রামের আইজ উদ্দিনের পুত্র ইব্রাহিম মিয়া (২৫)সহ আরো ২/৩জন আসামী হাতে লাঠি সোটা, লোহার রড, ছোরা, ছোট চাকুসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তরিকুল ইসলাম ও আয়নাল মিয়ার পথরোধ করে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তরিকুল ইসলাম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামী আলমগীর বাদশার হুকুমে তার বাহিনীরা তাদের হাতে থাকা লাটি সোটা, লোহার রড, ছোরা, ছোট চাকু দিয়ে আমাকে ও আয়নালকে এলোপাতারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। একপর্যায়ে সকল আসামী আমাদেরকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যেতে থাকলে আয়নাল মিয়া ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে গেলে আসামীগণ রশি দিয়ে তরিকুল ইসলামকে হাত-পা বেধে জোরপূর্বক আলমগীর বাদশার গ্যাস পাম্বের স্টোর রুমে নিয়ে গিয়ে আলমগীর বাদশা আমাকে ১শ টাকার ৩টি নন জুডিসিয়াল ফাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিতে বলে। তরিকুল স্বার করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সকল আসামী তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আসামী আলমগীর বাদশা ধারালো ছোরা দিয়ে আমার ডান হাতের কনুয়ের উপর কেটে রক্তাক্ত জখম করে এবং অপর আসামী সুমন মিয়া তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে চিরতরে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে আমার দুই পায়ের হাটুতে মেরে জখম করে। একপর্যায়ে আসামীরা আমাকে খুন জখমের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ১শ টাকার ৩টি নন জুডিসিয়াল ফাকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বার নেয় এবং আসামীরা আমাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে মর্মে মাইক্রোবাস যোগে অপহরন করে পীরগঞ্জ বন্দর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। এসময় উপস্থিত লোকজন আমাকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। তবে অপরাধীকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রংপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন