বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রাজারহাটে নিয়োগ জালিয়াতি সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে

রাজারহাটে নিয়োগ জালিয়াতি সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগকারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সরকার বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে এবং চাকুরী প্রার্থী এইচ এসসি পাস করা সত্বেও অষ্টম শ্রেণি পাস দেখিয়ে আয়া পদে চাকরি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগকারীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে  অভিযোগ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়,রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সরকার বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান তার ছোট বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সবকিছু অপরিবর্তিত রেখে জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স কমিয়ে অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট দিয়ে আয়া পদে চাকরি দেন সেলিনা আক্তারকে।
সেলিনা আক্তার ওই প্রতিষ্ঠানে গত ১৪ই মে ২০২২ইং তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার অরিজিনাল জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২ইং এবং চাকুরীরত প্রতিষ্ঠানে আবেদনকৃত জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্মতারিখ ১০ডিসেম্বর ১৯৯০ইং। যা দুটি জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়সের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
ওই অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দা শ্রী বিসামিত্র
১৮/০১/২০২৪ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ রাজারহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে এই জালিয়াতি নিয়োগ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অভিযোগকারী শ্রী বিসামিত্রকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযোগ উত্তোলন করে নিতে বাধ্য করেন প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য,উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে জন্ম নিবন্ধন সূত্রে সেলিনা আক্তারের জন্ম তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২ইং বলে জানা গেছে। এছাড়াও সেলিনা আক্তারের চাকুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হবার দিনে বয়স হয় ৩৯ বছর। চাকরির সুবাদে ৮ বছর বয়স কমিয়ে ৩১ বছর বয়স দেখিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগকারী শ্রী বিসামিত্র বলেন আমি অভিযোগ দিয়েছি যদি তারা সুষ্ট তদন্ত না করে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমি আদালতের শরনাপন্ন হবো।
প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন অভিযোগের পরে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে। বাদীকে তার ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। প্রতিবেদক তাকে প্রশ্ন করেন যদি আপোষ মিমাংসা হলো তাহলে অভিযোগকারী বিভিন্ন অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কেন,তখন বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ পত্র প্রাথমিক ভাবে সঠিক পাওয়া গেছে ভুয়া হলে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন অভিযোগের বিষয়টি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি তারপরেও অফিসে গিয়ে খোঁজখবর নিবো।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন এই অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নাই,তারপরেও আমি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে অভিযোগের বিষয়টি জিজ্ঞেস করবো।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন