ফুলবাড়ীতে রোগীর সার্টের কলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করে হাসপাতাল থেকে বের করে দিলেন ডাক্তার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড পরিস্কার করার অনুরোধ করায় এক রোগীর সার্টের কলার ধরে ধাক্কাধাক্কির পর তাকে তাৎক্ষণিক রিলিজ দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.বাইজিদ হোসেন বাঁধন।এ ঘটনার প্রতিবাদে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সুমন কান্তি সাহা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়ে ফিরে যায়। জানা গেছে, উপজেলার পানিমাছকুটি গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে ইসরাইল হোসেন (৪০) জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বেডে ভর্তি হন। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে কেবিনের পাশে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ ছড়াতে দেখে তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে সেগুলো পরিস্কার করতে বলেন। কিন্তু পরিচ্ছন্নতা কর্মী তার কথা না শুনে অন্যদিকে চলে যায়। তখন ইসরাইল হোসেন বিষয়টি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা বায়েজিদ হাসান বাঁধনকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ইসরাইলের সার্টের কলার ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রিলিজ করে দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। বিষয়টি ইসরাইল হোসেনের স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে বিকালে তারা হাসপাতালে এসে ওই ডাক্তারের শাস্তির দাবীতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। রোগী ইসরাইল হোসেন জানান, আমি অভিযোগ করায় ডা. বাধন আমার সার্টের কলার ধরে ধাক্কা মারে, একপর্যায়ে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন। পরে অন্যান রোগী ও হাসাপাতালের লোকজন আমাকে রক্ষা করে। মারতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে রিলিজ দিয়ে দেন এবং আমাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা বায়েজিদ হাসান বাঁধনের ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা সুমন কান্তি সাহা জনান, এ ঘটনা মৌখিকভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আর যার সাথে এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোরশেদ জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে আগামী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে।