বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সদ্য সংবাদ:

শিবগঞ্জে এগ্রিমেন্টের টাকা ফেরত না দেওয়ার তালবাহানা

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শিবগঞ্জে পুকুর এগ্রিমেন্টের মেয়াদ শেষ হলেও আমানতের টাকা ফেরত না দিতে তালবাহানার অভিযোগ উঠেছে শাহাদৎ জামান পুটুর বিরুদ্ধে।
এগ্রিমেন্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের তছকিন উদ্দিন আকন্দ এর ছেলে  আনোয়ারু ইসলাম একই উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের  ধাওয়াগীর (কৃষ্টুপুর) গ্রামের শাহাদাৎ জানাম পুটুর  নিকট থেকে ধাওয়াগীর মৌজার জে.এল নং-৩০, আর.এম আর নং ৩৬৬, হালে ২২১ নং  দাগে ৯১ শতাংশ পুকুর চার বছরের জন্য এগ্রিমেন্ট নেয়। এগ্রিমেন্ট নেওয়ার পর থেকে সে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলো। পরে পুকুরটি অন্য লোকের নিকট বিক্রি করায় নিদিষ্ট সময় পার হলেও আমানতের  টাকা ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক ক্রেতাকে দখল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহাদৎ জামান পুটুর বিরুদ্বে। শাহাদৎ জামান শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নে কৃষ্টপুর গ্রামের মৃতঃ কছির উদ্দীনের ছেলে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পুকুরটি এগ্রিমেন্ট নেওয়া দাড়িদহ গ্রামের  আনোয়ারুল ইসলামের সাথে। তিনি জানায়, আমি পুকুরটি চার বছরের জন্য চার লক্ষ টাকা দিয়ে এগ্রিমেন্ট নিয়েছি। এগ্রিমেন্টের সময় পার হলেও আমাকে এগ্রিমেন্টের টাকা না দেওয়ায় আমি এখনো পুকুরটি ভোগ দখল করছি। আমাকে এগ্রিমেন্টের টাকা দেওয়ার কথা বলে দুইবার মাছ পরিপক্ষ হবার আগেই  বিক্রি করতে হয়েছিল। এতে আমার ব্যাপক লোকসান হয়েছে। পাশাপাশি পুকুরের পাড় বাঁধা, চারপাশে কলার গাছ রোপন করা, পানির সেচ ও নেট ক্রয় বাবদ আমার প্রায় এক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পুকুরটি অন্যের নিকট বিক্রি করলে আমার আমানতের টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও তালবাহানা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহাদৎ জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি পুকুরটি এগ্রিমেন্ট না পত্তন দিয়েছি। পত্তন দেওয়ার চুক্তিনামা আমার নিকট রয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। আমোয়ারুল ইতোপূর্বে আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে সে পুকুর পত্তন নিয়েছে। আদালতে এগ্রিমেন্টের কোন ভিত্তি নেই।
ময়দানহাট্টা  ইউনিয়ন পরিষদের  সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম নান্নু বলেন, শাহাদৎ জামান পুটুর নিজ বাড়িতে বসে পুকুরটি চার বছরের জন্য চার লক্ষ টাকা এগ্রিমেন্টে আনোয়ারুল ইসলামের নিকট এ কাগজমূলে এগ্রিমিন্টে রেখেছে। আমি সেই এগ্রিমেন্টে  সাক্ষী আছি।
কৃষ্টুপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, পুকুরটি পুটু আনোয়ারুল এর নিকট এগ্রিমেন্ট রেখেছে এতে কোন সন্দেহ নাই।
পুকুর ক্রেতা বিদেশ থাকায় তার স্ত্রী মোছাঃ পান্না বেগম জানায়, এগ্রিমেন্টের চার লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমার রেখে দিয়েছি। আনোয়ারুল ও শাহাদাৎ জামানেের মধ্যে পুকুরের এগ্রিমেন্টের টাকা-পয়সা কেন্দ্রীক বিরোধ থাকায় বিষয়টি নিরসন করা যাচ্ছেনা।   তারা বিরোধ মিটিয়ে ফেললে আমরা টাকাটা দিয়ে দিবো।
এগ্রিমেন্ট সম্পাদনকারী মুহুরী ওছমান আলী বলেন, আনোয়ারুল ইসলাম পুকুরটি চার বছরের জন্য এগ্রিমেন্ট নিয়েছে। তিনি আরও জানান, শাহাদৎ জামানের বাড়িতে বসেই গত ২০১৯ সালের ২৫শে জুন তারিখে একশত টাকার ২টি এবং ৫০ টাকার ২টি মোট ৪টি ট্যাম্পে এগ্রিমেন্ট নামা হয়েছে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন