লালমনিরহাটে কালবৈশাখী ঝড়- বাতাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


মোঃ লাভলু শেখ লালমনিরহাট থেকে।।
লালমনিহাটে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে শতাধিক বসতবাড়ি, দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় শতবর্ষী গাছপালা, ভুট্রা, ধান ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে প্রায় ৮ ঘণ্টা।
রোববার ১৩ এপ্রিল ভোর রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো -বাতাসে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,রোববার ভোর রাতে বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী বাতাস শুরু হয়। এ সময় লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৯টি বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ও দোকানপাটের টিনের চালা ভেঙে পড়ে। ঝড়োবাতাসে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং তার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলায় প্রায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসে শতবর্ষী গাছপালা, ভুট্রা, ধান, আম, লিচু, মাল্টা ও সবজি ক্ষেত মাটিতে হেলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার এ, কে, এম, ফরিদুল হক জানান, ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিতে এ উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভাধীন এলাকার ভুট্রা, ধান ও সবজি ক্ষেত হেলে পড়েছে। ঝড়ে পড়েছে আম, লিচু, মাল্টার গুটি ফল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান জানান, কালবৈশাখী ঝড়োবাতাসে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এমনকি শতবর্ষী গাছপালা উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর পড়ে খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে প্রায় ৮ ঘণ্টা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অভিজিত চৌধুরী জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।