রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

১২ রানের লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে গেল বাংলাদেশ

১২ রানের লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে গেল বাংলাদেশ

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের টেলএন্ডাররা। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল হকের ব্রেক থ্রুর আগে কাইল জেমিসন আর টিম সাউদি দুজনে মিলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। আর তাতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে সফরকারীদের ইনিংস থামে ৩১৭ রানে।

৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে অবিচ্ছিন্নই ছিল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ রান। ২৬ বলে ১৪ রানে ব্যাট করছেন জাকির হোসেন আর ৩৪ বলে ৫ রান করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এর আগে ২৬৬ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ৩য় দিন শুরু করেছিল কিউইরা। উইলিয়ামসনকে বারবার জীবন দিলেও শেষ পর্যন্ত লিডের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। ৩য় দিন সকালে দ্রুত কিউইদের ফিরিয়ে দেওয়াটাই লক্ষ্য ছিল টাইগার বোলারদের। স্বল্প লিডও সিলেটের এই পিচে হতে পারতো সাইকোলজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ। কিন্তু ৩য় দিন দেখেশুনে ব্যাট চালিয়েছেন দুই টেলএন্ডার ব্যাটার কাইল জেমিসন এবং টিম সাউদি। নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন লিড। ২৬৪ রানে ৮ম উইকেট পতনের পর নবম উইকেটে এই দুজন গড়েছেন ৫২ রানের জুটি। তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছিল বাংলাদেশের। তৃতীয় দিন সকাল থেকেই নিরীহ-নির্বিষ বোলিং করেছে বাংলাদেশ। একে একে আক্রমণে আনা হয়েছে তিন স্পিনার আর এক পেসারের সবাইকে। তবে উইকেট তো দূরে থাক ন্যূনতম চাপটাও সৃষ্টি করা হয়নি টাইগার বোলারদের। বরং ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের হতাশাই বাড়িয়েছেন জেমিসন-সাউদি। শেষ পর্যন্ত পার্ট-টাইমার মুমিনুলে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে হালকা সুইয়ে বিভ্রান্ত করেছেন কাইল জেমিসনকে। তার হালকা সুইংয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি এই পেসার। আউট হয়েছেন এলবিডব্লিউতে। চার বল পর প্রায় একই ডিলিভারিতে স্ট্যাম্প খুইয়েছেন সাউদি। ৭ রানের লিড নিয়েই থামে কিউইরা। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হক ৩৭ রান করে, নুরুল হাসান ২৯, অভিষেক হওয়া শাহাদাত হোসেন ২৪ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ রান করেন। সফরকারীদের হয়ে পার্ট-টাইমার গ্লেন ফিলিপস সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। কাইল জেমিসন-এজাজ প্যাটেল দুটি করে এবং ইশ সোধি ও সাউদি একটি করে উইকেট নেন। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান তুলেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনেই ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড লিড পায় ৭ রানের। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার বিপরীতে একপ্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন সাবেক কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরার আগে করেন  ২০৫ বলে ১০৪ রান। চলিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস রয়েছে গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেলের। শেষ দিকে টিম সাউদির ৬২ বলে ৩৫ ও কাইল জেমিসনের ৭০ বলে ২৩ রানের সুবাদে লিড পায় কিউইরা। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল। এ ছাড়া পার্ট টাইমার মুমিনুলের দখলে গেছে তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট দখলে নিয়েছেন বাকি তিন বোলার শরিফুল, মিরাজ, নাইম।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন