সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে কোটি টাকার ক্ষতি

লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে কোটি টাকার ক্ষতি

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের বলিরপুল বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুনে মুদি ব্যবসায়ী করিম স্টোর, আলাউদ্দিনের ফার্মেসি, খুরশিদের ফার্মেসি, আনোয়ার বস্তবিতান, আবদুর রহমানের টেইলার্স, সুমনের টেলিকম ও আব্বাছের ফলের দোকান পুড়ে গেছে। এতে মুদি দোকানি করিমের প্রায় ৬০ লাখ টাকা, দুটি ফার্মেসির প্রায় ৩ লাখ টাকা, বস্তবিতানের প্রায় ৮ লাখ টাকা, টেইলার্সের দোকানির প্রায় ৬ লাখ, টেলিকম দোকানির ৬ লাখ টাকা ও ফল ব্যবসায়ীর প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে তছলিম ৪টি, তোফায়েল ২টি, মোসলেহ উদ্দিন একটি ও বাবুল একটির ঘরের মালিক। দোকানগুলো পুড়ে গিয়ে প্রত্যেকের প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। প্রত্যক্ষদর্শী পল্লী চিকিৎসক রুবেল হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনে সকালে একজন রোগীর কল পেয়ে আমি দোকানে আসি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অল্প সময়ের জন্য দোকানে বসেন তিনি। এর মধ্যে দুটি বিকট আওয়াজ শোনা যায়। তাৎক্ষণিক বাইরে বের হয়ে দেখা যায় কাপড়ের দোকানে আগুন জ্বলছে। তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসে। একপর্যায়ে তিনি ফায়ার সার্ভিসে কল দেন। দোকানঘরের মালিক তছলিম উদ্দিন বলেন, আমার ৪টি দোকান ঘর। তিনটিতে আমার ছেলেরা ব্যবসা করে। আর একটি অন্য একজন ভাড়া নিয়েছে। আমার সবগুলো দোকান পুড়ে গেছে। মুদি দোকানি আবদুল করিম বলেন, আগুনে আমার সব শেষ। একটি মালামালও অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাইনি। এ ক্ষতি কিভাবে পূরণ করব। সামনে ঈদ, পরিবার নিয়ে কিভাবে দিন কাটাব। আগুনে আমার সব স্বপ্ন পুড়ে গেছে। চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুড়ে যাওয়া ৮টি দোকানের ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকরা অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা নেই। কমলনগর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আব্দুল মজিদ বলেন, ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আমরা আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগেই ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন