রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

পীরগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় ৬ জনের জামিন মঞ্জুর

পীরগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় ৬ জনের জামিন মঞ্জুর

পীরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ থানার আলোচিত চাঁদাবাজি মামলা ৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত। ২ মে মঙ্গলবার রংপুরের পীরগঞ্জ আদালতে বিজ্ঞ বিচারক ওই জামিন মঞ্জুর করেন। আলোচিত চাঁদাবাজি মামলাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। প্রতিশোধ নিতে ওসি জাকির হোসেনের ষড়যন্ত্র কি না এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। ৩০ এপ্রিল ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে ২ জন কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার জাফরপাড়া গ্রামের বাসীন্দা ভুমি অফিসের কর্মচারী আরিফসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রামনাথপুর ইউনিয়নের আব্দুল্যাপুর গ্রামের ওয়াদুদ খন্দকার এর ছেলে বাদল খন্দকার বাদী হয়ে ৩০ এপ্রিল রোববার পীরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করলে টুকুরিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুল আমীনের ছেলে ফজলূল মিয়া( ৩৫) ও একই ইউনিয়নের তরফমৌজা গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আলতাফ হোসেন কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলো-মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া গ্রামের রুহুল আমীন রাজা মিয়ার ছেলে উজ্জল,একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে পীরগঞ্জ ভুমি অফিসের কর্মচারি আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে রাসেল মিয়া ও মদনখালী গ্রামের সুলতান মিয়া। মামলার আরজীতে উল্লেখ করা হয়,১ মাস ১০ দিন পুর্বে উজ্জল নিজের জমির বালু কাটার জন্য ভেকু ভাড়া করে নিয় যায়। নির্দিষ্ট দিন পার হলে ভেকুটি নিয়ে আসার পথে গত ২৯ এপ্রিল টুকুরিয়া ইউনিয়নের বটতলা নামক স্থান এরা সংঘবদ্ধ হয়ে ভেকুটি আটক দেয় ও ১ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। ভেকু মালিক পুলিশের স্মরণাপন্ন হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভেকুটি উদ্ধার ও ২ জনকে গ্রেফতার পুর্বক কোর্টে সোপর্দ করা হয়। ধৃতদ্বয় বর্তমানে জেল হাজোতে। অন্যান্যরাদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার আসামীদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, সম্প্রতি পীরগঞ্জ থানার ওসি জাকির হোসেনের ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে আসামী আরিফসহ কয়েক জন রংপুর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে গত ২৪ এপ্রিল ওসি কে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ সুপার। ওসি এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে ওই হয়রানীমূলক চাঁদাবাজি মামলা রুজু করেন। পীরগঞ্জ থানার ওসি জাকির হোসেন মামলার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন এই মামলার বিষয়ে তার কোন সম্পৃক্তা নেই। বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। এদিকে ২ মে মঙ্গলবার আসামী পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৬ জনেরই জামিন মঞ্জুর করে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন