শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বেসরকারি ফলে জয়ী হলেন যারা

বেসরকারি ফলে জয়ী হলেন যারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চলছে ভোট গণনা। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি উপজেলার বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন:

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী শাহজামান বাবুল বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট পেয়ে নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী শাহজামান বাবুল।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান সরদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট। 

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দ্বিতীয়বারের মতো  ৪০ হাজার ১০১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সঞ্জিত কর্মকার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬২৭ ভোট।

রাজশাহী: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শরিফুজ্জামান শরীফ বিজয়ী হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিওউবওয়েল প্রতীকে আব্দুল কাদের মণ্ডল নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বানেছা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন। 

কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় দোয়াত কলম মার্কায় ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বান্দরবান: বান্দরবানের লামায় মোস্তফা জামাল ও নাইক্ষ্যংছড়ি তোফাইল বিজয়ী

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির সুমন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঘোড়া প্রতীকের মুকবুল হোসেন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল চারটার পর থেকে শুরু হয় ভোট গণনা।

সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও পরে কিছুটা বাড়ে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

২৪টি উপজেলায় ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ভোট হয় ব্যালট পেপারে। দয়েক জেলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নেই ভোট দেন ভোটাররা। ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই প্রার্থীদেরও। নিবিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ ভোটের সব ব্যবস্থা আগে থেকেই নেয় নির্বাচন কমিশন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে, প্রতিটি কেন্দ্রে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি।

এর আগে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত ‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা নির্বাচনে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিল বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন