রাজারহাটের বিদ্যানন্দে পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে প্রায় শত একর আমন ধানের ক্ষেত
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় ৬ টি দোলায় প্রায় শত একর আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় চন্দ্র পাড়ায় দুটি কালার মাল্লিতে দুটি দুর্লভকুটিতে দুটি দোলা সহ ছোট ছোট আরো বেশ কয়েকটি স্থানে ধান ক্ষেত পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে। এসব এলাকার হাছেন আলী মাস্টার, শফিকুল ইসলাম, আউয়াল, মকবুল হোসেন, সহ অনেকেই ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবী ডারিয়ার পাড়ে বাধের রাস্তায় ষ্টীল পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হতো। অনেক পুরনো পাইপ হওয়ার ফলে পাইপে জং ধরে দুর্বল হয়ে পড়ে। গতবছর বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ সইতে না পেরে তা ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় ঠিকাদার ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের মাধ্যমে পুরনো পাইপ বিক্রি করে। পরবর্তিতে প্লাস্টিকের দশ ইঞ্চি চারটি পাইপ বসিয়ে দেয়। পাইপগুলো নিম্নমানের হওয়ায় তারমধ্যে দুইটি পাইপ মুচড়ে যায়। এর ফলে পানি নিষ্কাশনে আরও বাধাগ্রস্ত হয়। চাষিরা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখানে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দ্রুত তা নির্মাণ করা গেলে এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হতোনা।
জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাধের রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণের বাধ্যবাধকতা থাকায় আমরা কোনো উদ্যোগ নিতে পারি নাই। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি কোনো সমাধান পাইনি।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান তিস্তা নদীর সাথে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা পূর্বে ছিল সেটা পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখবে। কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের তালিকা তৈরি করছি।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রাফসান জনির সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমরা দ্রুত পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।