ফুলবাড়ীতে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও প্রশ্নপত্র দিয়ে ষাণ্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ
ফুলবাড়ী ( কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার দাবীকারী উপজেলার মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আমিনুল ইসলাম মিয়ার (ইনডেক্স নং- ২০০৬৫২৮) বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও প্রশ্নপত্র দিয়ে ষাণ্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রার প্রকৃত সুপার মাওলানা শাহানুর আলম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী হিসাবে কর্মরত থাকার পরও আমিনুল ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন থেকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার দাবি করে আসছেন। তিনি নিজেকে সুপার দাবীকরে সহকারী জজ আদালত কুড়িগ্রাম-এ একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মোকদ্দমা নং- ৮২/২০২২। উক্ত মামলায় সুপার হিসেবে তার নিয়োগ বিজ্ঞ আদালতে ভূয়া প্রমানিত হয়। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান সুপার হিসেবে মাও: শাহানুর আলম প্রতিষ্ঠানের আইডি ও পাসওয়ার্ড সম্বলিত প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ষাণ্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন-২০২৪ গ্রহণ করেন। কিন্তু ভুয়া সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া পার্শ্ববর্তী হাফছাতুন্নেছা হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে এবং পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান রাবাইতারী এস.বি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের (EΙΙΝ ΝΟ: 122182) প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সম্পুর্ণ অবৈধভাবে ষাণ্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন-২০২৪ গ্রহণ করেন।
বুধবার ১০ জুলাই বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে উপস্থিত হাফছাতুন্নেছা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা এই মাদ্রাসার ছাত্র নই। পরীক্ষা দেখানোর জন্য পাশের হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে আমাদের ডেকে আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার দাবীকারী আমিনুল ইসলাম মিয়ার ফোনে একাধিক বার কল দেয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুম জানান, এ ব্যাপারে জেনে প্রজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।