রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

উলিপুরে চাচার বিরুদ্ধে মারপিট ও চুরির অভিযোগ

উলিপুরে চাচার বিরুদ্ধে মারপিট ও চুরির অভিযোগ
উ‌লিপুর,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজিকে মারপিট করে বসতবাড়িতে চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভূক্তোভোগি ভাতিজি ইশরাত জাহান স্মৃতি(৩২) বাদী হয়ে ৯জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গল এলাকার মৃত রশিদুল হায়দার খানের মেয়ে ইশরাত জাহান স্মৃতি(৩২) ও আপন চাচা শফিকুল হায়দার(৫৪) গংদের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়সহ জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ইশরাত জাহান স্মৃতি ও তার বোন সুমাইয়া পারভীন এবং মা মোকছেদা খাতুন ওরফে মোর্শেদা বেগমকে মারপিট করেন শফিকুল হায়দার ও তার সংগীয়রা। এ ঘটনায় ইশরাত জাহান স্মৃতি বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বাদী মা ও বোন সহ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ীতে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসামীগণ তাদের বাড়িতে যেতে বাধা প্রদান করেন। পরে ইশরাত জাহান স্মৃতি মা ও বোনসহ ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মালতিবাড়ি গ্রামে খালা মনোয়ারা বেগম(৫০) এর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে ইশরাত জাহান স্মৃতি ও বোন সুমাইয়া পারভীন সাথী এবং মা মোকছেদা খাতুন বাড়ীতে গিয়ে দেখতে পান ঘরে থাকা আসবাবপত্র এলোমোলা এবং আলমারীর লকার ভাঙ্গা। আলমারীতে থাকা ৫ ভরি ওজনের স্বর্নের অলংকার যাহা একজোড়া হাতের বালা, দুইটি গলার চেইন, একটি আংটি, কানের দুল একজোড়া, ও স্বর্নের একটি ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৬ লক্ষ টাকা। সেই সাথে জমির দলিলসহ ইশরাত জাহান স্মৃতি ও বোন সুমাইয়া পারভীন সাথী এবং ভাই মাহমুদ আলম খানের শিক্ষা সনদ এবং মূল্যমান জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগি ইশরাত জাহান স্মৃতি বলেন, আমার দাদা মাহাবুব আলম ওরফে আলম ডাক্তার জীবিত থাকা অবস্থায় তার সমস্ত সম্পত্তি ৬ পুত্র ও ৫ কন্যার মধ্যে অছিয়তনামা দলিলের মাধ্যমে বণ্টন করে দেন। গত ১৭/০২/২০২১ ইং তারিখে তার প্রথম পুত্র আমার পিতা রশিদুল হায়দার খান মৃত্যুবরণ করেন। আমি এবং আমার ভাই বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য নানা ভাবে নির্যাতন ও অন্যায় অত্যাচার করে আসছে চাচা শফিকুল হায়দার গংরা। তিনি আরো বলেন, শফিকুল হায়দারসহ তার সংগীয়রা আমাদের ৩টি শয়ন ঘরের দরজার তালার কড়া খুলে ঘরে প্রবেশ করে আলমারীর লকার ভেঙ্গে স্বর্নের অলংকার, জমির দলিল, শিক্ষা সনদ ও মূল্যমান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
এবিষয়ে শফিকুল হায়দারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কল কেটে দেন। পরে তার ছোট ভাই লুৎফর হায়দার সোহেল মুঠোফোনে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে চুরি ও মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জমি-জমার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন