১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে নড়াইলের কালিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন
শিক্ষক শরীফ দীন ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-কালিয়া সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মাসিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু রেজোয়ান, সহকারী শিক্ষক ইয়াসিন আরাফাত রুবেল, মিল্টন শেখ, অনিমেষ দত্ত, রাজিবুল ইসলাম, রাখি ইয়াসমিন, সাজ্জাদ আলম, জামিরুল ইসলামসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু, চাকরির ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর গ্রেডে বেতন পাই আমরা। এই গ্রেডে একজন শিক্ষক যে বেতন পান, তাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। প্রতিটি শিক্ষককে ঋণ এবং পরিবারের চাহিদার বোঝা মাথায় নিয়ে স্কুলে আসতে হয়। পাঠদান করাতে হয়। ফলে গুণগত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে শিক্ষকদের পারিবারিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসার পাশাপাশি পাঠদানে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারবেন সবাই।
বক্তারা আরো বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হয়। আর স্নাতক ডিগ্রিধারী একজন শিক্ষককে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী বিবেচনা করা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তাই ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন আমাদের ন্যায্য অধিকার। বৈষম্যবিরোধী এই সরকার শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য দূর করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
আর্ন্তজাতিক মানদন্ডে ভারত ও শ্রীলঙ্কার শিক্ষার মান ২০ দশমিক ৮। পাকিস্তানের ১১ দশমিক ৩ এবং বাংলাদেশের শিক্ষার মান ২ দশমিক ৮। চলমান বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে ১০ম গ্রেডের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের একদফা দাবি, ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন চাই।