বৃহস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ঘোড়াঘাটে ৩৭ টি চালকলের লাইসেন্স  বাতিল 

ঘোড়াঘাটে ৩৭ টি চালকলের লাইসেন্স  বাতিল 
মনোয়ার বাবু (ঘোড়াঘাট) দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় আমন মৌসুমে চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হওয়া ৩৭টি চালকলের নিবন্ধন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবির নাথ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিন্ধান্ত জানিয়ে নিবন্ধন বাতিল করা চালকলের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে সরকারের খাদ্য সংগ্রহ অভিযানে উপজেলায় সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১৭৫ টন আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ টন। এ ছাড়া ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০১ টন। সরকারের এই অভিযানে ধান-চাল সরবরাহের জন্য উপজেলার ৭২টি সিদ্ধ চালকল এবং ২টি আতপ চালকল চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সংগ্রহ অভিযান চলে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ধান ও আতপ চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হলেও সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৬৪০ টন।
জানা গেছে, উপজেলার মোট ১০৯ টি নিবন্ধিত চালকলের মধ্যে ১০৭ টি হাসকিং মিল ও ২টি অটো চালকল রয়েছে। এর মধ্যে ৭২ টি চালকল সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করছে। সরকার আমন মৌসুমে চালকল গুলোর কাছ থেকে সংগ্রহের জন্য ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান, ৪৭ টাকা কেজিতে সিদ্ধ চাল এবং ৪৬ টাকা কেজিতে আতপ চাল কেনার দর নির্ধারণ করে দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চালকলমালিক বলেন, যখন সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়েছে, তখন বাজার যাচাই না করেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে অনেক মিলমালিকই সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়নি। আবার যখন বাজারে ধান থাকে, তখন কৃষকরা যে দামে ধান বিক্রি করেন, কিছুদিন পরই সেই দাম বৃদ্ধি পায়। অবৈধ মজুদদাররা কৃষকদের ধান কিনেন এবং পরে সিন্ডিকেট করে ধানের দাম বাড়ান। এ মজুদদারদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে ধান কিংবা চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য বাজার মনিটরিং বা ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে হবে। মিলমালিকদের দায়ী করলে হবে না, বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যদি সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়, তাহলে সব মিলারই সরকারকে চাল দেবেন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাহিদা আখতার বলেন, যেসব মিল চুক্তি করেনি এবং চুক্তি করেও যারা চাল দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স বাতিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংগ্রহ কার্যক্রম স্থগিত রাখার শাস্তির বিধান রয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন