বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

খনি শ্রমিকদের সন্তানদের জিটিসির শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান

খনি শ্রমিকদের সন্তানদের জিটিসির শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান

সোহেল সানী।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর অধীনে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা বৃত্তি আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রদান করা হয়েছে। মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকাবাসীর জন্য জিটিসি চ্যারিটি হোম এর সামজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির সন্মুখে অবস্থিত জিটিসি চ্যারিটি হোমে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হাতে এই উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করেন জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ জাবেদ সিদ্দিকী এর পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন। পরে সদ্য এমপিও ভুক্ত মধ্যপাড়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য বিগত মাসগুলোর আর্থিক সহায়তার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমানের হাতে চলতি জুলাই মাসের আর্থিক সহায়তার অর্থও প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষণ এবং উৎপাদন কাজে নিয়োজিত দেশীয় একমাত্র মাইনিং কোম্পানী জার্মানীয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশ কোম্পানী ট্রেস্ট এসএস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মাঝে সেবামূলক এবং সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম এবং মধ্যপাড়া পাথর খনির এলাকাবাসীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ সংস্থা “জিটিসি চ্যারিটি হোম” স্থাপন করেছে। খনি এলাকায় সামজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন বাড়াতে এলাকার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে জিটিসি কর্তৃপক্ষ।
এখানে উল্লেখ্য, জিটিসি চ্যারিটি হোমে ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সপ্তাহে ৫ দিন খনি এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে খনি এলাকার প্রায় ৩০/৪০ জন রোগী এই চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছেন।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন