বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

চুমকী হত্যার সাথে জড়িত সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চুমকী হত্যার সাথে জড়িত সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার
মনোয়ার বাবু,(ঘোড়াঘাট) দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
পরকীয় সম্পর্কের জেড়ে বিয়ে তারপর সামাজিক ও পারিবারিক অশান্তি, দিনের পর দিন সম্মান হানি। অতিষ্ঠ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতের অদন্ধকারে হত্যা করে লাশ ফেলা হয় আম বাগানো।
ফারহানা আক্তার চুমকি(৩৫) নামের গৃহবধুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ৫ দিনপর বুধবার(২ আগষ্ট) রাত ২টা ৩০শে মূল পরিকল্পনাকারী হত্যার প্রধান আসামি সাবেক চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক সহ ৩ জন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ৮ নং আওলাই ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান আঃরাজ্জাক(৫০), বয়রা, ছাতিনালীর এমদাদুল হক (৪৮) দু’জনই জয়পুরহাট পাঁচবিবির এবং অপর একজন দিনাজপুর ঘোড়াঘাট  উপজেলার কৃষ্টপুর মরিচার মাইক্রো ড্রাইভার এমদাদুল হক(৪৫)।
সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শাহ্ ইফতেখার আহম্মেদ পিপিএম। বৃহঃস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয় ।
পুলিশ সুপার বলেন, চুমকি এবং আঃ রাজ্জাক দু’জনরই পরিবার থাকা সত্ত্বেও পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, ২০২০ সালে গোপনে তারা বিয়েও করেন। পরে পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে, পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ২০২১ সালে চেয়ারম্যান ফারহানা কে তালাক দেয়।
এভাবে যোগাযোগ না করে, কিছু দিন কাটালেও পর তাদের মধ্যে আবার যোগাযোগ হয় এবং বিভিন্ন সময় ফারহানা চেয়ারম্যান কে ব্লাকমেইল করতে থাকে। আর এতে করে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সম্মান হানি হওয়ায় ফারহানা কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে সাবেক এই চেয়ারম্যান।  সে কারণেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চুমকিকে বিয়ের কথা বলে চেয়ারম্যান রাজ্জাক। নিহত চুমকি তার কথায় রাজী হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নিহত চুমকিকে পাঁচবিবি উপজেলা থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে আসে মাইক্রো চালক এমদাদুল। এরপর পৃথক পৃথক জায়গা থেকে হত্যাকারী চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগীরা গাড়িতে উঠে। তারা সেই রাতে নিহত চুমকিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় নিয়ে আসে এবং গাড়ীর মধ্যেই গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে চুমকিকে হত্যা করে। এরপর চুমকিকে খারাপ মেয়ে বলে আখ্যায়িত করতে কথিত পতিতা এলাকা মোজামের আম বাগানে চুমকির লাশ ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
এরআগে ঘোড়াঘাট উপজেলার ১নং বুলাকীপুর ইউনিয়নের কালুপাড়া এলাকায় মোজামের আম বাগানে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। পরে তার পরিচয় শনাক্ত হলে নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে হত্যায় জড়িত চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদেরকে আটক করে।
গ্রেফতার তিন আসামীকে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন