শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, যার রেজি নং-৩৬)

হার নিয়ে যা জানালেন সাকিব

হার নিয়ে যা জানালেন সাকিব

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : লাহোরের উইকেট সাকিবদের কাছে বেশ পরিচিত। লিগ পর্বে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাঠেই খেলেছে। উইকেটের আচরণ শতভাগ বুঝে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন টাইগাররা। বিশ্বসেরা স্পিনার রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের বিপক্ষে জয় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল বাংলাদেশকে। আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা স্বপ্ন নিয়ে গতকাল খেলতে নামেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। কিন্তু সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দেখা গেল টাইগার ব্যাটিংয়ের সেই পুরনো চিত্র, ব্যাটিং ব্যর্থতা। নতুন বলে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে শতভাগ ব্যর্থ ব্যাটাররা। শুধু তাই নয়, বরাবরের মতো লেট অর্ডারের অসহায় আত্মসমর্পণ। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব ও মুশফিকের জোড়া হাফসেঞ্চুরি এবং শতরানের জুটি সত্ত্বেও পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দশ ওভারের ভেতরই নেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৯২ রানে। এরপর বোলারদের জন্য করার ছিল সামান্যই। যদিও বাংলাদেশের তিন পেসারই করেছেন দুর্দান্ত। ম্যাচের পর অধিনায়ক সাকিব বলছেন, শুরুতেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিলেন তারা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা ছিল তার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচের শুরুতেই হেরে গেছি। তারা খুব ভালো বোলিং করেছে, আমরা বেশ কিছু বাজে শট খেলেছি। এ রকম একটা উইকেটে প্রথম দশ ওভারে আমাদের চারটি উইকেট হারানো ঠিক হয়নি। আমার আর মুশফিকের জুটি ভালো ছিল। আরও ৭-৮ ওভার আমরা খেলতে পারতাম তাহলে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতো। আমি আউট হওয়ার পর আর কোনও জুটি হয়নি। এ রকম একটা উইকেটে খুবই বাজে ব্যাটিং হয়েছে। এটার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ পাকিস্তানের তিন পেসারেই দিশেহারা ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দশ উইকেটের মধ্যে নয়টিই নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। তাদের গতিতেই পরাস্ত হন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সাকিবের কণ্ঠেও ছিল তাদের প্রশংসা। তিনি বলেন, ‘তারা র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল। এ কারনেই তারা এক নম্বর দল। তাদের তিনজন ফ্রন্টলাইন বোলার আছে, যারা খুব ভালো করছে। আমরা ভালো করছি বোলিংয়ে, কিন্তু ব্যাটিংয়ে উত্থান পতন আছে। আমাদের ধারাবাহিকতা হতে হবে।’ ‘আমার মনে হয় আমাদের তিনজন পেসার ব্রিলিয়্যান্ট বোলিং করেছে। পাকিস্তানের মতো আমাদের প্রথম সারির তিনজনও গত কয়েক বছর ভালো বোলিং করেছে। তারা এটা আজকেও দেখিয়েছে। যদিও উইকেট পায়নি। কারণ এমন উইকেটে ব্যাটাররা ভুল না করলে উইকেট পাওয়া কঠিন।’ সুপার ফোরে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ কলম্বোয়। ৯ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন