বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

দুর্গাপুরে “কথাসাহিত্যের উত্তরপাঠ” বিষয়ক তারুণ্যের শিল্প আড্ডা

দুর্গাপুরে “কথাসাহিত্যের উত্তরপাঠ” বিষয়ক তারুণ্যের শিল্প আড্ডা
দুর্গাপুর(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
যে আলো নন্দনের, যে আলো শিল্পের” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দুর্গাপুরের তারুণ্য উদীপ্ত পরিবেশবাদী সংগঠন-‘জনপদ প্রাণ ও প্রকৃতি ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক অনুষ্ঠিত হলো- “কথাশিল্পী রাজীব-উল আহসান ও তাঁর কথাসাহিত্যের উত্তরপাঠ” শীর্ষক তারুণ্যের শিল্প আড্ডা-০৪ ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার কমরেড মণিসিংহ স্মৃতি জাদুঘর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এ তারুণ্যের শিল্প আড্ডা।
এতে নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসানের শিল্পসাধনা ও তাঁর কথাসাহিত্যের পাঠোত্তর শিল্প আড্ডায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সোহরাব হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং , সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড.মোঃ আব্দুর রাশিদ,কবি ও ছড়াকার জীবন চক্রবর্তী, সম্পাদক মোঃ মোরশেদ আলম।
অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমরেড মোঃ আলকাস উদ্দিন মীর, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোঃ নাসির উদ্দিন,সমাজকর্মী মোঃ নূর আলম,দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী হাসান কলি, শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর রিপন, সাংবাদিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, হিমু পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মাসুদ রানা, সুসঙ্গ পাঠকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাতা কবি মুর্শিদা আক্তার, কবি মিমি চৌধুরী,সবুজ আন্দোলনকর্মী মোঃ রাশেদুজ্জামান, মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, মোঃ জাবির আহমেদ প্রমূখ । আয়োজনে নির্ধারিত বিষয়ের উপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জনপদ প্রাণ ও প্রকৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রভাষক জনপদ চৌধুরী।
আলোকবৃন্দ বলেন, সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও একজন লেখক ও কথাশিল্পী হিসেবে মোঃ রাজীব উল আহসান তাঁর সাহিত্যের অন্তরগর্ভে সমাজকে দেখেছেন একজন যথার্থ শিল্পীর দায় থেকে। যার দরুণ এক এক করে তাঁর হাত ধরে উঠে এসেছে দুটি উপন্যাস -‘একদা হিমু হতে চেয়েছিলাম’ ও ‘শিশু নিবাসের কাণ্ডকারখানা (শিশুতোষ উপন্যাস)’ এবং তিনটি গল্পগ্রন্থ- ‘দুহিতার বেসাতি’,’একটি নীল লিটমাসের গল্প’,’প্রযত্নে অপরাজিতা’র মত গ্রন্থসমূহ।
এসব গ্রন্থের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর পরিপার্শ্বের প্রচলিত সমাজকে শুধু অবলোকন ও পর্যবেক্ষণই করেননি, একই সাথে সে সমাজের অন্তরগত দ্বন্দ্ব, ঘাত-প্রতিঘাত, সমাজে নারী ও শিশুর অধিকারহীনতা,যুবকমানসের রোমান্টিসিজম এবং সর্বোপরি শ্রেণি বিভাজিত সাধারণ নিরন্ন মানুষের মনোবিকলন, অপরাধ প্রবণতা ইত্যাদি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুৃঁটে উঠেছে। একই সাথে আলোচকবৃন্দ নব প্রজন্মকে বস্তুনিষ্ঠ বই পাঠেরও তাগিদ দেন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মৃদুলা ইরিন মীরা ।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন