শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রংপুরের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে একজন নিহত এবং আকষ্মিক বন্যায় ২০ সহরাধিক মানুষ পানি বন্দি

রংপুরের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে একজন নিহত এবং আকষ্মিক বন্যায় ২০ সহরাধিক মানুষ পানি বন্দি

 পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
কয়েক দিনের ঘন বৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা আকষ্মিক বন্যার পানিতে রংপুরের পীরগঞ্জে ৩টি ইনিয়নের শত শত একর জমির আমন ধান, রবি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ২০ সহ¯্রাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। জানাগেছে, ওই বন্যায় উপজেলার টুকুরিয়া, বড় আলমপুর, চতরা ইউনিয়নের ২৫/৩০টি গ্রামে আকষ্মিক বন্যার পানি প্রবেশ করায় অনেক মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। টুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মন্ডল জানান, জয়ন্তিপুর, রামকানুপুর, মেরি পাড়া, বিছনা, মোনইল দক্ষিন দূর্গাপুর, সুজারকুঠি, টিওরমারী, দুধিয়াবাড়ী, পার হরিনা, দক্ষিন টুকুরিয়া, চড় ভিটে পাড়ার মাঠের ফসল সম্পুর্নরুপে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের মানুষ এখন পানি বন্দি এবং বাকি গ্রামগুলোর আংশিক ফসল পানির নিচে। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হাসান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান টুকুরিয়া ইউনিয়নের বন্যা কবলিত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেন। এসময় নৌকা যোগে পানিবন্দি মানুষদের মাঝে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি দেয়া বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মেরিপাড়া, চরভিটা পাড়া, আব্দুলের চর, বিছানর চর, দক্ষিন দূর্গাপুরে পীরগঞ্জের এমপি ও জাতীয় সংসদের স্পীকারের দেয়া চাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করেন। বড় আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ হাফিজুর রহমান সেলিম জানান, আমার ইউনিয়নের রামনাথপুর, শিমুলবাড়ী, ধর্মদাসপুর, তাঁতারপুর, ষোলঘরিয়া, হোসেনপুর গ্রামগুলোতে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিন জানান, আমার ইউনিয়নের কুয়েতপুর, পার কুয়েতেপুর, কুয়েতপুর মাঝিপাড়া, নামা মাঠিয়েল পাড়া, নামা ঘাসিপুর, সুরানন্দপুর, গবিন্দপাড়া, চন্ডিদুয়ার কুমারপুর, পার কুমারপুর, চকভেকা গ্রামের মানুষ বানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পারকুমারপুর গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। ম্যাছনা থেকে মাটিয়াল পাড়া বাধ হুমকির মুখে। বন্যার পানির তোড়ে যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আজ বুধবার দুপুরে বজ্রপাতে চতরা গারোপাড়ার ভেন্টন হাসদা নামে এক আধিবাসী যুবক মারা গেছে। স্পীকারের নির্দেশে হাসদার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা তাৎক্ষনিক সহায়তা প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান।
ওই ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ গোল্লা জানান, আমার ওয়ার্ডের কুয়েতপুর মাঝি পাড়ার ৪৫টি পরিবার বন্যা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বলগাড়ি ক্যাডেট স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে, নামা ঘাসিপুর, নামা মাটিয়াল পাড়ার প্রায় ১শ পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন