উলিপুরে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুরে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করা হয়েছে। “সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি” এই স্লোগানকে ধারণ করে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করেন পিস ফ্যাসিলিটিটের গ্রুপের (পিএফজি)।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের অনুপ্রেরনায় গড়ে উঠা বহুদলীয় প্লাটফর্ম পিস ফ্যাসিলিটিটের গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করা হচ্ছে। মহাত্মা গান্ধীর বিখ্যাত উক্তি “অহিংসার প্রথম নীতিই হলো সকল অমর্যাদাকে প্রত্যাখ্যান করা, নিস্ক্রিয় থেকে অহিংস প্রতিষ্ঠা করা যায় না”।
২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবরকে বিশ্ব শান্তি, সহিষ্ণুতা, সহানুভ‚তিশীলতা এবং অহিংসার সংস্কৃতি সুরক্ষিত করতে ‘‘আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। মূলত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের স্মারকস্বরূপ বিশ্ব থেকে হিংসা অসহিষ্ণুতা, বিদ্বেষ, যুদ্ধ ও হানাহানী বন্ধে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে তার জন্মদিনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস কবির রানু। শিক্ষক দিলিপ পোদ্দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পিএফজি’র সভাপতি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক নুরে আলম সিদ্দিকী, লেখক ও ইতিহাস গবেষক প্রভাষক আবু হেনা মোস্তফা ও প্রভাষক মিজানুর রহমান বিল্পব প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সংঘাত নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি-¯স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৭ সালে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের অনুপ্রেরনায় গড়ে উঠা বহুদলীয় প্লাটফর্ম পিস ফ্যাসিলিটিটের গ্রæপ (পিএফজি)-এর মাধ্যমে সারাদেশে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মানববন্ধন ও শান্তি পদযাত্রাসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে এ বছর দিবসটি প্রকল্পের কর্ম এলাকায় উদযাপিত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, বাংলাদশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনকে আমরা গভীর তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচনায় করছি। অনেক অর্জনের মধ্যেও নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ আমাদের এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এ জাতি মুক্তিযুদ্ধ করলেও স্বাধীনতা প্রাপ্তির অর্ধশতাব্দী পরেও আমরা দেখছি যে, আমাদের স্বপ্ন আজও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এই দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আমরা ঐক্য ও শান্তির বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই।