শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে উজানে ভারতীয় অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বড় মাত্রার বন্যার আশঙ্কা,প্রশাসনের সতর্কবার্তা

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপরে উজানে ভারতীয় অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বড় মাত্রার বন্যার আশঙ্কা,প্রশাসনের সতর্কবার্তা

 লালমনিরহাট  সংবাদদাতা:   লালমনিরহাটে তিস্তার পানি ২০ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। জানাগেছে,  তিস্তা নদীর ভারত অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় হু হু করে তিস্তার জল এগিয়ে আসছে ,বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কায় প্রশাসনের সতর্কবার্তা জারি।মঙ্গলবার ৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের নদ নদীর পানির সমতল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (cwc) বরাত দিয়ে জানান, ভারতের সিকিম রাজ্যে তিস্তা নদীর উপর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে তিস্তা নদীর পানি সমতল অংশে অস্বাভাবিক হারে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার মধ্যরাতে গজল ডোবা অংশে ২৮৫ সিন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়,(বর্তমান পানির সমতল ১১০সেন্টিমিটার)এবং দোমোহনী পয়েন্টে বুধবার সকালে ৮২ সেঃমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে,(বর্তমান পানি সমতল ৮৫ ‘ ৯৫ সেন্টিমিটার) যা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়। লালমনিরহাট জেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায় ,বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮০সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ভারতের অংশে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় উজানের পানি যে কোন মুহুর্ত্তে ঢুকে পড়বে এবং তা বিপদ সীমার ৫০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশংকা করছেন কতৃপক্ষ।তিস্তার পাহাড়ি ঢল নেমে আসলে বাংলাদেশ অংশে লালমনিরহাট,কুড়িগ্রাম,রংপুর,নীলফামারী,গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভারতের সিকিমে বাঁধ ভাঙ্গার পাশাপাশি ভারি মাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে,ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতে আগামী ৪৮ঘন্টায় ভারি বৃষ্টিপাত সম্ভবনা থাকায় পানি বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে,ফলে বড় মাএার বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিস্তা নদীর দু-পাড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায়, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে , হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদীতমারী, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে মাইকিং করে সতর্কবার্তা পৌছে দিয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকায়।লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদউল্লাহ, জানান আমরা সব ধরনের প্রশ্তুতি নিয়ে রেখেছি যাতে মানুষের জান মাল রক্ষা করা যায়। অপরদিকে  ৪ অক্টোবর ২৩ ইং তারিখ  সন্ধ্যা ৬ টার আপডেটে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ শাখার পাউবোর দায়িত্বরত কমকতা জানান,
তিস্তা নদীঃ
ডালিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল ৫২.৩৫ মিটার (বিপদসীমা = ৫২.১৫ মিটার) যা বিপদসীমার ২০ সে.মি উপরে ।

কাউনিয়া পয়েন্ট –
পানির সমতল ২৮.৩২ মিটার
(বিপদসীমা = ২৮.৭৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ৪৩ সে.মি নিচে।

ধরলা নদীঃ
শিমুলবাড়ি পয়েন্ট –
পানি সমতল ২৮.৯৪ মিটার,
(বিপদসীমা = ৩১.০৯ মিটার)
যা বিপদসীমার ২১৫ সে.মি নিচে।

পাটগ্রাম পয়েন্ট –
পানি সমতল ৫৬.৮২০ মিটার
(বিপদসীমা = ৬০.৩৫ মিটার)
যা বিপদসীমার ৩৫৩ সে.মি নিচে। লালমনিরহাটে মঙ্গলবার সকাল ৮ টা হতে বুধবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতঃ ০ মিলিমিটার।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন