বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ভারতের সিকিমে তিস্তার ড্যাম ক্ষতিগ্রস্থ, কুড়িগ্রামসহ বাংলাদেশের ৫ জেলায় বন্যার আশঙ্কা, প্রশাসন থেকে সতর্কতা জারী

ভারতের সিকিমে তিস্তার ড্যাম ক্ষতিগ্রস্থ, কুড়িগ্রামসহ বাংলাদেশের ৫ জেলায় বন্যার আশঙ্কা, প্রশাসন থেকে সতর্কতা জারী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:  উজানের ঢলে তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থির সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের নীলফামারি, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। বুধবার (৪ অক্টোবর) পাউবো কুড়িগ্রাম থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের বরাতে পাউবো জানায়,ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে যা অব্যাহত রয়েছে। পাউবো আরও জানায়, তিস্তার পানি বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার বিকাল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তিস্তা অববাহিকায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের ভাটিতে পানি কম থাকায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে।’এদিকে বন্যার অাশঙ্কা থাকায় অাজ রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সচেতন করতে হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রচারণায় ইউএনও বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি কিন্তু হঠাৎ করে বাড়বে, এবং পূর্বাভাস বলছে যে মধ্যরাতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। সুতরাং কোন ধরনের কাল বিলম্ব না করে আপনারা দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন