শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

শ্রীমঙ্গলে টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষনে কৌশল শিখলেন ২৯ জন প্রশিক্ষণার্থী

শ্রীমঙ্গলে টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষনে কৌশল শিখলেন ২৯ জন প্রশিক্ষণার্থী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
চা উৎপাদন এবং ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গদের দক্ষতা উন্নয়নকল্পে ৫দিন ব্যাপী “টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল” প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। যেখান থেকে চা উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী, চা বাগান ব্যবস্থাপকসহ চা শিল্পের সাথে জড়িত ২৯ জন প্রশিক্ষনার্থী চায়ের মান নির্ণয় এর কৌশল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের শ্রীমঙ্গলস্থ প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট মিলনায়তনে (পিডিইউ) পিডিউ এর আয়োজনে পিডিইউ-এর পরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিকুল হক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন চা বাগানে কর্মরত প্লান্টার্সগণ, বিভিন্ন ব্রোকার্স হাউজ ও চা কোম্পানির অভিজ্ঞ টি টেস্টারগণ এবং বিটিআরআই ও পিডিইউ-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।

৫দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় অংশনেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত চা শিল্পের সাথে জড়িত ২৯ জন প্রশিক্ষণার্থী। কোর্সটির কো-অর্ডিনেটর এর দায়িত্ব পালন করেন পিডিইউ-এর উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে টি টেস্টারদের অনেক মুল্য। যা সবাই করতে পারেনা। যারা এ কাজ করেন কোন প্রকার পান বা মাদক গ্রহন করা যায়না। তারা শুধু জিব্বা দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে তা করেন। তাদের বেতন লক্ষ টাকার উপরে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি, বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। ভালো মানের চা উৎপাদন এবং বাজারজাত করার লক্ষ্যে চা উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কোর্সটি আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি পিডিইউ-এর পরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিকুল হক বলেন যে, ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম ক্লাবে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চা চাষ শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিমাণ চা উৎপাদন হচ্ছে তা দেশের অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে।

ফলে, বাংলাদেশের চায়ের চাহিদা পূরণের জন্য চা আমদানী করার প্রয়োজন হচ্ছে না এবং চা আমদানি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে না। তিনি বলেন, চা বোর্ডের লক্ষ্য হচ্ছে চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। আর এ জন্যই, গুণগতমানের চা উৎপাদন করা জরুরি ।

বিটিআরআই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন উল্লেখ করেন যে, টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল কোর্সটি টি ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি খুবই প্রয়োজনীয় কোর্স। কোর্সটি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি-এর নির্দেশনায় পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, প্রশিক্ষণ কোর্সটি সময়োপযোগী এবং পিডিইউ হতে ইতোমধ্যে আয়োজিত এ ধরণের ৩ টি কোর্সে প্রায় ১০৯ জন অংশগ্রহণ করেছেন।

বিটিআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের চা ক্লোন এবং চা প্রসেসিং প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীকে এই কোর্সের মাধ্যমে ধারণা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে টি টেস্টিংএ সেরা তিনজনকে সম্মাননা ও পুরস্কার দেয়া হয়।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন