বিরামপুরে বসত ভিটা গন্ডগোলের পূর্ব জের ধরে খালাদের হাতে ভাগিনা মৃত্যু,আটক-৬
এন,এম,সজীব: দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লায় বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের আপন ভাগিনা কোবাদ হোসেন (৬০) কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিটে হামলা করে তিন খালা ও খালাত ভাই-বোনেরা এ হামলায় কোবাদ হোসেন নিহত হয়েছে।
আজ- (২৬ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার: বেলা সোয়া ১২ টার দিকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক (আবাসিক) মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার পারভেজ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি পৌর শহরের পূর্বপাড়া মহল্লার মৃত কলিমুউদ্দিনের ছেলে, এবং তিনি দীর্ঘদিন বিরামপুর করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের পূণ্য সরবরাহকারী ভ্যান চালক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহত কোবাদ হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম(৩০) জানান, দুপুরে আমার বাবা বাড়িতে রাজ মিস্ত্রিদের সাথে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করছিলো। এ সময় বসত বাড়ির জায়গার গন্ডগোলকে কেন্দ্রকরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বাবার খালা মেহেরা, অমেলা, জাহেরা, মেহেরার মেয়ে নাজমা(৩২), নাজমার মেয়ে প্রেমা, মৃত: আবু হোসেনের ছেলে শওকত আলী(৩৫) ও মেহেরার ছেলে হিমেলরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সর্জিত হয়ে আমার বাবার উপরে অর্তকিত হামলা চালায়ে মার ডাং করতে থাকে।
এ সময় বাবা প্রাণে বাঁচতে পাশে দৌড়ে প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে ঘাতকরা সেখানেই আমার বাবাকে পিছু ধাওয়া করে আটকিয়ে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে অজ্ঞান করে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশিরা আমার বাবাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে প্রতিবেশিরা জানান, ঘাতকরা মহল্লায় উশৃঙ্খল প্রকৃতির ব্যক্তি। তারা অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি সহ বিরামপুর সার্কেল এএসপি মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ পূর্বক ঘটনায় জড়িত ৬ জন কে আটক করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।