রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ডোমারে রেললাইনের ৭২টি ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে রাখলো দুর্বৃত্তরা

ডোমারে রেললাইনের ৭২টি ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে রাখলো দুর্বৃত্তরা
  রবিউল হক রতন, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন।
বুধবার(১৩ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা প্রধানপাড়া দোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডোমার-চিলাহাটি রেলপথে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে ওই এলাকায় রেললাইনের লোহা লস্কর খোলানোর শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এগিয়ে গিয়ে একদল দুর্বৃত্তরাদের রেললাইনের ফিসপ্লেট পিন খুলতে দেখা গেলে লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করে। এ সময় পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ওই গ্রামের হরিদাস চন্দ্র রায় (৩৫) বলেন, ঘটনার পর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছিল। এসময় ঘটনাস্থলে ৩০০ থেকে ৪০০ লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই বিভিন্নভাবে সংকেত দিতে থাকলে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে করে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।
জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখওয়াৎ হাবীব বাবু বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের সীমানায় ঘটেছে। আমি গিয়ে রেল লাইনের বিভিন্ন স্থানে ফিসপ্লেট ক্লিপ খোলা দেখতে পেয়েছি। এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি।
বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমন বলেন, এলাকাবাসীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের ফেলে যাওয়া একটি বস্তা থেকে ৭২ পিস ফিসপ্লেট ক্লিপ উদ্ধার হয়। এরপর রেলের লোকজন এসে লাইন মেরামত করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
নীলফামারী স্টেশন মাস্টার ওবায়দুর রহমান রতন বলেন, লাইন মেরামতের পর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেনটি সেখান থেকে ছেড়ে আসে। অপরদিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র একপ্রেস ট্রেনটিও দেড় ঘণ্টা আটকা পড়ে ডোমার স্টেশনে।
সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এখানে আসার পর এলাকাবাসী আমাদের ট্রেনকে দাঁড় করায়। তারপর তারা আমাদের বলে যে রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে রাখা আছে। যারা এগুলো খুলেছিল তাদেরকে তারা ধরতে পারেনি কিন্তু তাদেরকে ধাওয়া দিয়েছিল। এখানে লাইনের যারা কাজ করে তারা কিছু কাজ করে দেওয়ার পর আমরা চলাচলের অনুমতি পাই। তবে আমাদেরকে এখন সর্তকর্তার সাথে ধীরে ধীরে ট্রেন চালাতে হবে।
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে দেখতে পাই রেল লাইনের প্রায় ৭২টি  ফিসপ্লেট খোলা হয়েছে। আমাদের ডোমারের ‍উপরে দিয়ে রেললাইনের একটি বড় অংশ গেছে, আমরা সরকারকে অবহিত করবো যাতে যে স্থান দিয়ে রেললাইন গেছে সে স্থানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এ ছাড়াও আমরা রেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি তারা আমাদের কাছে যে ধরনের সহযোগিতা চাইবেন আমরা তাদেরকে সে ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবো।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন