বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

অসময়ের সর্বনাশা তিস্তা ভাঙনে কৃষকদের ৩০ বিঘা ভুট্টা ক্ষেতবিলীন

অসময়ের সর্বনাশা তিস্তা ভাঙনে কৃষকদের ৩০ বিঘা ভুট্টা ক্ষেতবিলীন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অসময়ের সর্বনাশা তিস্তা ভাঙনে কৃষকদের ৩০ বিঘা ভুট্টা ক্ষেতবিলীন। মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম ও বুকভরা আশা নিয়ে ফসল ফলান কৃষকরা সেই আশায় গুড়েবালি দিয়েছে সর্বনাশা তিস্তা।বাধ্য হয়ে গবাদিপশুকে কেটে খাওয়াচ্ছেন মোচাধরা ভুট্টা।
জানা যায়, কাপাসিয়া ইউনিয়নের উজান বুড়াইল চরের বছর পাঁচেক আগ থেকে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা দুর্গম ওই চরে ফলছে ভুট্টাসহ নানা শস্য। ভুট্টাক্ষেতগুলোতে মোচা ধরেছে। দু’মাস পরই কৃষকদের ঘরে উঠতো ফসল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না তাদের। ভেঙে তছনছ সেই ফসলি মাঠ। সর্বনাশা তিস্তার ভাঙনে এরইমধ্যে নদীতে ভেসে গেছে জহুরুল ইসলাম, লিটন মিয়া, নুরনবী ও রফিকুল ইসলামসহ বেশ ক’জন কৃষকের প্রায় ৩০ বিঘা জমির ভুট্টাক্ষেত। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এবার গম, মসুর, সরিষা, আলু, ভুট্টা, তিল, তিশি, পেঁয়াজ, রসুনসহ নানান ধরনের রবিশস্যের চাষ হয়েছে ১১ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ভুট্টা ৩ হাজার ৮২০ হেক্টরে চাষ হয়েছে।
কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, অসময়ের ভাঙনে আমার সব ভুট্টাক্ষেত তিস্তায় বিলীন হয়েছে। ধার-দেনা করে এবার আবাদ করেছিলাম। আমার আশা ভেঙে দিলো সর্বনাশা তিস্তা।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার সবাই আগাম ভুট্টা করেছিলাম। ভুট্টা খুব ভালো হয়েছিল। সবগুলোতে মোচাও এসেছিল। কিন্তু তিস্তা নদী সব শেষ করে দিলো।
কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনজু মিয়া বলেন, ভাঙন এখনো চলছে। অসময়ের ভাঙনে চরের কৃষকদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
 সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবির বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। সেইসঙ্গে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে কৃষিতে পূনর্বাসনের জন্য যতটুকু পারা যায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন