বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

রোনালদো-নেইমারসহ আজ যেসব ফুটবলারের জন্মদিন

রোনালদো-নেইমারসহ আজ যেসব ফুটবলারের জন্মদিন

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক :ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটা উধাও হলে কী যে হতো! আধুনিক ফুটবল হয়তো তার অর্ধেক রঙই হারাত। এই দিনে এতগুলো ফুটবলার জন্ম না নিলে তাই তো হতো। আধুনিক ফুটবলের বড় দুই নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়ারের দেখা হতো না। ১৯৮৫ সালের আজকের এই দিনে জন্মেছিলেন এ সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, পর্তুগিজ রাজপুত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আর তার ঠিক সাত বছর পরেই জন্ম নিয়েছিলেন আধুনিক ব্রাজিল ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন নেইমার জুনিয়র। ইতিহাস বলছে আরও বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় ফুটবল তারকা এদিন এই ৫ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে এসেছিলেন। রোমানিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা মানা হয় ‘কার্পেথিয়ান ম্যারাডোনা’ নামে খ্যাত এই মিডফিল্ডারকে। নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সফল এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার সেই গুটিকয়েক ফুটবলারের মধ্যে একজন, যিনি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনাÑ দুই ক্লাবেই খেলেছেন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছিল শুধুমাত্র এই রোমানিয়ান তারকার জাদুর কাছে হেরেই। ক্যারিয়ার জুড়ে করেছেন তিন শতাধিক গোল। হ্যাজি জন্মেছিলেন ১৯৬৫ সালে।

ভেদরান চরলুকা
ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারও জন্মেছেন আজকের এই দিনে, রোনালদোর এক বছর পর। প্রিমিয়ার লিগের দর্শকরা তাকে মনে রেখেছেন ম্যানচেস্টার সিটি আর টটেনহামের হয়ে খেলা ম্যাচগুলোর জন্য। ২০১৮ বিশ্বকাপ খেলেই জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া এই তারকা এখন খেলছেন রাশিয়ায়, লোকোমোটিভ মস্কোতে।

রদ্রিগো প্যালাসিও
আর্জেন্টিনার এই স্ট্রাইকারকে সবাই মনে রেখেছে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে জঘন্য খেলার জন্য। কিন্তু তাতে সিরি ‘আ’-এর ভক্তরা রুষ্ট হতে পারেন। ইতালিয়ান লিগে বেশ সফল ছিলেন এই স্ট্রাইকারÑ ইন্টার আর জেনোয়ার হয়ে। বোকা জুনিয়র্সের ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার মানা হয় তাকে। এখন খেলছেন বোলোনিয়াতে। জাতীয় দলের সতীর্থ তেভেজের চেয়ে দুই বছর আগে জন্মেছেন তিনি।

আদনান ইয়ানুজাই
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্তরা এক সময় ভাবতেন এই ইয়ানুজাই-ই হয়তো রোনালদোর অভাব পূরণ করতে পারবেন। সে সময়ের ম্যানেজার ডেভিড ময়েস আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ইয়ানুজাইয়ের সঙ্গে ইয়োহান ক্রুইফের তুলনা করেছিলেন। কিন্তু প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে না পারা বেলজিয়ান এই উইঙ্গার এখন খেলছেন রিয়াল সোসিয়েদাদে। ফলে রোনালদোর সঙ্গে তার ওই এক জায়গাতেই মিল থেকে গেছে, আর অন্য কিছুতে নয় জন্মদিনে! ১৯৯৫ সালে জন্মেছেন তিনি।

সোয়েন-গোরান এরিকসন
সুইডিশ এই রাইটব্যাকের ফুটবল ক্যারিয়ার সাদামাটা হলেও কোচ হিসেবে সাফল্য ঈর্ষণীয়। ১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া এরিকসন ক্লাব ও জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে দশটি দেশে কাজ করেছেন। তিনটি আলাদা দেশে (সুইডেন, পর্তুগাল ও ইতালি) লিগ ও কাপের ডাবল জেতা প্রথম কোচও তিনি।

জন আলোইসি
প্রথম অস্ট্রেলিয়ান তারকা হিসেবে ইংলিশ লিগ, স্প্যানিশ লিগ ও ইতালিয়ান লিগে গোল করেছিলেন তিনি। তার আদায় করা পেনাল্টিতে গোল করেই ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০০৬ বিশ্বকাপ খেলতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭৬ সালে জন্মেছেন তিনি।

সিজার মালদিনি
ছেলে পাওলো মালদিনিকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা রক্ষণ সেনা হিসেবে মানা হলেও, বাবা সিজারও কিন্তু কম ছিলেন না। পাওলো ডিফেন্ডার হওয়ার অনুপ্রেরণা কিন্তু পেয়েছিলেন বাবার কাছ থেকেই। খেলোয়াড় হিসেবে এসি মিলানকে চারবার লিগ আর একবার ইউরোপ-সেরা বানানো সিজারে ম্যানেজার হিসেবেও ছিলেন সফল। মিলানকে কাপ উইনার্স কাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। ইতালির ম্যানেজার হিসেবে কোনো শিরোপা না জিতলেও জাতীয় দলে মালদিনি, ফাবিও ক্যানাভারো, জিয়ানলুইজি বুফন, ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরি, ফ্রান্সেসকো টট্টি ও আলেসসান্দ্রো দেল পিয়েরোদের মতো প্রতিভাদের গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১৯৩২ সালে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি।

কার্লোস তেভেজ
আধুনিক যুগে আর্জেন্টাইন ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা তেভেজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, জুভেন্টাস, বোকা জুনিয়র্সের হয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন বছরের পর বছর। আর্জেন্টিনায় মেসির থেকেও তার জনপ্রিয়তা বেশি! রোনালদোর ঠিক এক বছর আগে জন্মেছিলেন এই তারকা।

জিওভান্নি ফন ব্রঙ্কহর্স্ট
২০০৬ সালে বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পেছনে এই ডাচ ফুটবলারের অনেক অবদান ছিল। ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ডাচদের অধিনায়কত্ব করা এই লেফটব্যাক বর্তমানে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্দের দায়িত্বে আছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে বার্সেলোনা, আর্সেনাল, রেঞ্জার্সের হয়ে শিরোপা বিধৌত কিছু মৌসুম কাটানোর পর ম্যানেজার হিসেবে ফেইনুর্দকেও জিতিয়েছেন লিগ শিরোপা। ১৯৭৫ সালে জন্মেছিলেন এই তারকা।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন