সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

কলাপাড়ায় বিমান বন্দর নির্মাণে সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন, খুশি এলাকার মানুষ

কলাপাড়ায় বিমান বন্দর নির্মাণে সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন, খুশি এলাকার মানুষ

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া প্রতিনিধি: পায়রা বন্দর, একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার নির্মাণ হবে বিমানবন্দর। এ লক্ষ্যে বিমান বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। শনিবার দিনভর প্রতিনিধি দলটি কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের বিমানবন্দরের নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জহিরুল হক বলেন, এ স্পটে বিমানবন্দর নির্মাণ হলে সরকারের খরচ অনেক কম হবে। আর গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বিমান বন্দর নির্মাণের খবরে খুশি।

দেশের বৃহৎ একাধিক মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে কলাপাড়ায়। এসব প্রকল্পে বিদেশি অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দেশ বিদেশের পর্যটকদের সমাগম কয়েকগুণ বেড়েছে।

সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্য গত তিন বছর ধরে কলাপাড়ায় বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একাধিক স্পষ্ট যাচাই বাছাই শেষ শনিবার চাকামইয়া ইউনিয়নের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় তিন হাজার একর জমিতে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও দুই কিলোমিটার প্রস্থের এ বিমানবন্দরের জন্য চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিয়া এবং আমতলী উপজেলার তারিকাটা ও উত্তর টিয়াখালী গ্রামকে প্রাথমিক বাছাই করেছে।

বিমান বন্দরের নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখে,

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মো.জহিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশ তারা বিমান বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা নির্ধারণে তারা কলাপাড়ায় এসেছেন। এ স্পটে বিমানবন্দর নির্মাণের পর্যাপ্ত সরকারি খাস জমি রয়েছে। এ ছাড়া এখানে বিমানবন্দর নির্মাণ হলে সরকারি খরচ অনেক কমবে। এছাড়া বরগুনা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সীমান্ত এলাকা হওয়ার এখানে পূর্নবাসন প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হবে। এ বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়ে তারা রিপোর্ট তৈরি করবেন।

আর পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, প্রায় তিন হাজার একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া, পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা বিবেচনা করে চাকামইয়ায় বিমানবন্দরের সম্ভাব্য জায়গা দেখে প্রতিনিধি দলের সম্মতি হয়েছে। এখন তাদের পরিদর্শন রিপোর্ট যাচাই করে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এদিকে কলাপাড়ায় বিমানবন্দর নির্মাণ হবে এমন খবরে খুশি এলাকার সাধারন মানুষ ও জনপ্রতিনিরা। তবে বিমানবন্দর নির্মাণ হলেও জমির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণসহ চাষের জমি ও জলমহল ও প্রবাহিত নদীর যাতে ক্ষতি প ভরাট না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার দাবি করেন।

চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে তারা সবাই ধরনের সহায়তা করবেন। তাদের দাবি বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত এলাকার মানুষ যাতে যথাযথ সহায়তা ও পূর্নবাসন সুবিধা পায়।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কুয়াকাটা ও চাকামইয়ার একাধিক স্পষ্ট প্রতিনিধি দলটি ঘুরে দেখেছেন। চাকামইয়ায় সরকারি জায়গা বেশি থাকায় এবং ঘনবসতি কমে থাকায় এ জায়গা তাদের পছন্দ হয়েছে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন