রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন, অ্যাতলেটিকোর বিদায়

ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন, অ্যাতলেটিকোর বিদায়

মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : মার্সেল সাবিতজার জটলার মধ্যে শট নিলেন, বল জড়াল জালে। ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ‘ইয়েলো ওয়াল’ ভাসলো উন্মদনায়। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ফ্রি স্ট্যান্ডিং গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনে এমনিতেই দিশেহারা ছিলেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা। ২৫ হাজার সমর্থকের টানা স্লোগানের সামনে যে কারোরই স্নায়ুচাপে পড়া স্বাভাবিক। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তাইই ঘটল। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে স্নায়ুচাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৩ মিনিটের মাঝে হজম করেছে দুই গোল। নিকলাস ফুলক্রুগ আর মার্সেল সাবিতজারের দুই গোলে নিশ্চিত হলো ১১ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলবে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ঘরের মাঠে ২-১ গোলে ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। সেই লিড ধরে রাখাই ছিল লক্ষ্য। শুরুর দিকে তাই খুব একটা আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়নি সফরকারীদের। ডর্টমুন্ডও বারবার বাঁধা পেয়েছে তাদের রক্ষণের সামনে। কিন্তু উত্তাল সাগরের সামনে বাঁধ আর টেকে কতক্ষণ!  ৩৪ মিনিটে এসে ডর্টমুন্ডকেও আর আটকে রাখা যায়নি। মার্সেল সাবিৎজারের কাছ থেকে বল পেয়ে জার্মান ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন হুলিয়ান ব্রান্ড। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান ২–০ করেন ইয়ান মাটসেন। এবারও গোলের জোগানদাতা সাবিৎজার। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন অস্ট্রিয়ান এই মিডফিল্ডার।  প্রথমার্ধেই পিছিয়ে গেলেন ৩–২ ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন দরকার ছিল অ্যাতলেটিকোর। আলভারো মোরাতা, নাহুয়েল মলিনা ও সিজার আজপিলিকুয়েতাকে তুলে নেন। একসঙ্গে মাঠে নামান তিন বদলি আনহেল কোরেয়া, পাবলো বারিয়োস ও রদ্রিগো রিকেলমিকে।  সুফলটাও তারা পায় হাতেনাতে। ৪৯ মিনিটে ম্যাটস হামেলসের আত্মঘাতী গোলটা এসেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটির সংঘবদ্ধ আক্রমণের ফলেই। কিন্তু হামেলসের মুখের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল, এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। এরপরে অবশ্য ৬৪ মিনিটে বদলি নামা কোরেয়া গোল করে বসেন। দুই লেগে মিলিয়ে ৪–৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অ্যাতলেটিকো। শুরু হয় ডর্টমুন্ডের ফিরে আসার লড়াই। সিগন্যাল ইদুনা পার্ক তখন গর্জন করছে রীতিমতো। পুরো স্টেডিয়ামকে এমন সমর্থন ফিরিয়ে দিতে সময় লাগলো মোটে ৭ মিনিট। ৭১ মিনিটে ফরোয়ার্ড ফুলক্রুগ ম্যাচে এনে দেন লিড। আর অ্যাগ্রিগেটে আসে সমতা। ৩ মিনিট পরেই ফের গোল পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ফুলক্রুগের পাস থেকে জটলার মাঝেই দারুণ এক গোল করেন সাবিৎজার। ১১ বছর পর আরও একবার ফাইনালের টিকিট পায় বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন