সৈয়দপুরে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এমপি আদেলের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
মোঃজাকির হোসেন সৈয়দপুর( নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১০ টায় শহরের সুলতাননগরে ড্রিমপ্লাস রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এই মতবিনিময় করেন।
এতে বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার জাপার আহ্বায়ক ঠিকাদার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব জি এম কবির মিঠু, ও এমপি’র স্থানীয় উপদেষ্টা জাপা নেতা কাজী ময়নুল ইসলাম এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেটের তত্বাবধায়ক ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব গুলজার আহমেদ আশরাফী।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত উল্লেখযোগ্যরা হলেন, বিউটি সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মোটর সাইকেল ও কার ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন, হাজী এন্টারপ্রাইজের আলহাজ্ব সিদ্দিক আলম, রাজু মেডিকেল স্টোরের মালিক এজাজ আহমেদ, মিশন জেনারেল হাসপাতাল ও পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের পরিচালক, নীলফামারী জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডা. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ডক্টরস কার্ডিকেয়ার হাসপাতালের এমডি ডা. তাওমীদ ইমাম মুক্তা, চাউল ব্যবসায়ী গণি মৃধা! প্রমুখ।
এমপির প্রেস সেক্রেটারি মাহমুদ হাসান অয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় জাপা নেতা ময়নুল কাজী বলেন, জাতীয় পার্টির ঘাড়ে সওয়ার হয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে সব সুযোগ সুবিধা লুফে নিয়েও মিথ্যেচার করে অকৃতজ্ঞতার চিরায়ত চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তাইতো সৈয়দপুরের আওয়ামীলীগ নেতারা এমপি আহসান আদেলুর রহমানের কাছ থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য অর্থ সহায়তা নিয়েও অস্বীকার করছেন। শুধু তাই নয় বরং কৃতঘ্নের মত মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে বিষোদগার করে চলেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, এবছরই হলো নির্বাচনের বছর। আর মাত্র ৭/৮ মাস পরই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই এই সময়ে এসে আমার এমপির দায়িত্ব পালন নিয়ে মূল্যায়ন প্রয়োজন। সেজন্য আমি আমার দায়িত্বকালে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য কতটুকু কি করতে পেরেছি তা জানা দরকার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৈয়দপুর শহর সিংহভাগ রেলওয়ের জায়গা হওয়ায় এবং পৌরসভার অন্তর্গত হওয়ায় এখানে দৃশ্যমান কোন কাজ করা এমপি’র এখতিয়ার ভুক্ত না হওয়ায় প্রত্যাশানুযায়ী কাজ করা সম্ভব হয়নি। তারপরও যথাসম্ভব উন্নয়ন করা হয়েছে। তাছাড়া গ্রামাঞ্চলে প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কিশোরগঞ্জ ১২ টি ও সৈয়দপুরে ৮ টি বড় সড়ক সংষ্কার করা হয়েছে। সেইসাথে বিভাগীয় বরাদ্দে ১০ টি ও কৃষিভিত্তিক বরাদ্দে আরও ৫ টি পাকা সড়কের কাজ করা হয়েছে। কাচা সড়কের ক্ষেত্রেও ছোট ছোট রাস্তার প্রায় ১০০ কিলোমিটার কাজ হয়েছে।
এমপি আদেল আরও বলেন, দুই উপজেলায় ২৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা, ৭২ টি মসজিদ মাদরাসা ও মন্দিরের উন্নয়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। ৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সংষ্কার ও ১৫ টি স্কুল কলেজে নতুন ভবন নির্মান করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামের উন্নয়নে গ্যালারী ও সীমানা প্রাচীর নির্মানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা হয়েছে। জায়গার অভাবে যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জয়িতা প্রকল্পের অধীনে ট্রেনিং সেন্টার করার সুযোগ পেয়েও বাস্তবায়ন করা যায়নি।
আলোচনা শেষে নৈশভোজে মিলিত হন উপস্থিত ব্যবসায়ী, সূধী, সাংবাদিক, উর্দূভাষীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও জাপা নেতাকর্মীরা। সবশেষে বিদায়লগ্নে সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এমপি আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল।