শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আশপাশের ঘর-বাড়ী ও স্থাপনায় ফাটল

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আশপাশের ঘর-বাড়ী ও স্থাপনায় ফাটল

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দেশের একমাএ উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার পার্শ্ববর্তী ৮টি গ্রামের বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে অন্তত ১১ হাজার মানুষ। এতে ুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, দাবী আদায়ের জন্য বড় ধরণের আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির আশপাশের অন্তত ৮টি গ্রামরে বেশিরভাগ ঘরের দেয়ালেই ফাটল দেখা যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রায় রাতেই ছোট এবং মাঝারি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা এতে পাকা ঘরবাড়ি ও স্থাপনা গুলো ফেটে যাচ্ছে। টিউবওয়েল গুলো থেকে আগের মত পানি উঠছে না, দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ২০০৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরুর পর ২০০৬ সাল থেকেই খনি সংলগ্ন গ্রামগুলোতে শুরু হয় ভূমিধস। খনি কর্তৃপ ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৬৪৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে।

আবার নতুন করে মৌপুকুর,কালুপাড়া,বৈগ্রাম,পাতিগ্রাম,পাতরাপাড়া,বৈদ্যনাথপুর পাঁচ ঘরিয়া কাশিয়াডাঙ্গা গ্রাম গুলোতে গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরবাড়িগুলোতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েল গুলে থেকে পানি উঠছেনা।

এ বিষয়ে মৌপুকুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিরাতে যে ভাবে ঘরবাড়ি ঝাকুনি কম্পন হচ্ছে তাতে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। দ্রুত তিপুর না দিলে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো।

অপর দিগে একই গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, ছোট বাচ্চাদের নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে আমাদের। প্রতিদিন রাতে খনির কম্পন হচ্ছে তাতে করে বাড়িতে আতংকে নিয়ে বসবাস করছি।

পাতিগ্রামের বাসিন্দা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সোলায়মান সামির জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের জায়গা জমি সব দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবী আজও পুরন হয় নি কয়লা খনি কৃর্তপক্ষ শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীদের। নতুন করে আবারও ঘরবাড়ীতে ঝাকুনি কম্পন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। দ্রুত ক্ষতিপুরন সহ ক্ষতিগ্রস্তদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এলাকাবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, ইতিপূর্বে বার বার খনি কতৃপরে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি কিন্তু খনিতে আমাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।গত ৯/০২/২০২৩ তারিখে আমরা পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটা অভিযোগ দেয়ার পরও কোন পদপে গ্রহন করেনি খনি কতৃপ।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন গ্রহণ করেন নি।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন