৮০ টুকরো করা হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ
মুক্তিনিউজ২৪ ডট কম ডেস্ক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড যাকে পরিকল্পনাকারী বলা হচ্ছে, সেই আক্তারুজ্জামান শাহীন ঘটনার আগেই পাঁচ দফায় আড়াই কোটি টাকা দিয়েছিলেন খুনিদের। এই টাকা নিয়েছেন পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। তিনি বাকি খুনিদের টাকা ভাগ করে দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডর পর আরও টাকা দেওয়ার কথা ছিল। তদন্তকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খুনিদের দেওয়া নগদ এই টাকা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো। আনার হত্যাকাণ্ডটি তদন্ত করছে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কলকাতা পুলিশ। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া শিমুল ভূঁইয়াসহ তিনজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদ হাওলাদারকেও রিমান্ডে নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানায়, রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। জিহাদ হাওলাদারের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তার তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনারকে হত্যা করার পর মরদেহ ৮০ টুকরো করা হয়। টুকরোগুলো ছোট পলিথিনে রাখা হয়। কিছু মাংস কিমা করা হয়। মাথা দুই ভাগ করে কিমার মতো করা হয়। সেসব বাথরুমের কমোডে ফেলা হয়। বাকিগুলো ফেলা হয়েছে খাল বা অন্য কোনো জলাশয়ে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তারা ছয়টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। এগুলো আনার কেন একা গেলেন, সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তার এক মিনিটের ভিডিওটি কে করেছে, আনারের কাছে শুধু একটি ছোট ব্যাগ ছিল কেন, কলকাতা যাওয়ার সময় তিনি কী ধরনের গাড়িতে করে গেছেন, ওই সময় গাড়িতে আর কে ছিল এবং গোপাল নামে যে বন্ধু আছেন, তার সঙ্গে কী বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে? এ বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করছেন তারা।
পুলিশ সূত্র জানায়, কলকাতা থেকে আসা সিআইডির ৪ সদস্য ডিবির হেফাজতে থাকা তিন আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কলকাতায় আটক হওয়া দুজনের কাছ থেকে যে ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে তার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছেন তারা। হত্যাকাণ্ডর অন্যতম আসামি আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শিমুল কলকাতার পুলিশ সদস্যদের জানিয়েছেন, অর্থের বিনিময়ে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেই তাকে ফ্ল্যাটে নেওয়া হয়। শিলাস্তি রহমানকেও ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। শিলাস্তিকে দিয়ে আনারের আপত্তিকর ছবি তোলা হয়েছে। খুন করার পরিকল্পনা করেই আনারকে তারা কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু খুনের আগে তার কাছ থেকে কিছু অর্থ আদায় করা যায় কি না, এ জন্য ব্ল্যাকমেলের চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু অচেতন হয়ে গেলে আর ব্ল্যাকমেল করা যায়নি। পরে বালিশচাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আনারকে হত্যার সময় ওই কক্ষে তার সঙ্গে ফয়সাল, মুস্তাফিজুর, সিয়াম জিহাদসহ আরও কয়েকজন ছিল। প্রথমে লাশ গুমের জন্য হাড়-মাংস আলাদা করা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিদলটি গতকাল শনিবার চলে গেছে।
জড়িতদের মধ্যে শিমুল ছাড়া ফয়সাল আলী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা ৮ দিনের রিমান্ডে আছেন। পশ্চিমবঙ্গে কসাই জিহাদ গ্রেপ্তার হলেও সিয়াম ও মুস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা যায়নি। জুবের নামের এক ট্যাক্সিক্যাব চালকে কলকাতা সিআইডি আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মুম্বাই থেকে ভাড়া করা কসাই বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা জিহাদ ১২ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আনার হত্যাকাণ্ডটি ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ত হওয়ায় অনেক তথ্য পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, এযাবৎ তথ্যে তাদের ধারণা ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর সীমান্তকেন্দ্রিক সোনা চোরাচালান, মাদক ও হুন্ডি কারবারের নিয়ন্ত্রণ; আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। খুনের প্রকৃত কারণ জানতে শাহীনের বক্তব্য জানা জরুরি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাইবে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয়রাও একমত, আনারকে হত্যা করার মতো সাহস কখনোই শাহীনের হবে না। কারণ আনারের কাছে শাহীনকে চুনোপুঁটি মনে করেন তারা। এ কারণে শাহীন গ্রেপ্তার না হলে প্রকৃত মাস্টারমাইন্ড কে, তা নিয়ে ধূম্রজাল থেকেই যাবে। যদিও শাহীনকে গ্রেপ্তার করা অতটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন তারা। তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অনেকের নামই পাওয়া যাচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আনার হত্যার অনেক মোটিভ থাকতে পারে। পূর্বশত্রুতার জের, আর্থিক লেনদেন, রাজনৈতিক বিষয়ও থাকতে পারে। এসব বিষয় জানতে তদন্ত চলছে।’ তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ড যারা বাস্তবায়ন করেছে, তারা সবাই পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে শিমুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ওই সব খুন করা হয়েছে গলা কেটে।
সোনা চোরাচালান চক্রের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপির ডিবিপ্রধান বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো কিছুই বলা যাবে না। তবে অনেকগুলো বিষয় আছে। তদন্ত শেষ করে আমরা জানাতে পারব।’ আনারের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি, কীসের ভিত্তিতে হত্যার কথা বলা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করছি না। প্রমাণ পেয়েছি বলেই কলকাতায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। কলকাতায় মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। নিশ্চয়ই তারা আলামত পেয়েছে। কলকাতায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার তদন্তে আমারও যাব।’
হত্যার আগেই আড়াই কোটি টাকা : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনার অপহরণ মামলার তদারকিতে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আনার হত্যাকাণ্ড ঘটাতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেছেন শাহীন। আর শাহীনকে পেছন থেকে কথিত কয়েকজন বড় ভাই সহায়তা করেছেন বলে তারা তথ্য পাচ্ছেন। হত্যকাণ্ডের আগেই ঘাতকরা আড়াই কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এর মধ্যে শিমুল ভূঁইয়া বেশি অর্থ পেয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভারতে গিয়ে টাকা লেনদেন হয়েছে।
এমপির দেহ ৮০ টুকরো করা হয় : আনারকে হত্যা করার পর তার দেহ ৮০ টুকরো করা হয়েছিল। মাথা দুই ভাগ করে কিমা করে কসাই জিহাদ। তারপর দেহাংশে মেশানো হয় রাসায়নিক, ব্লিচিং ও হলুদের গুঁড়া। সেগুলো আলাদা আলাদা প্যাকেটে ভরেছিল জিহাদ ও তার সহযোগী সিয়াম।
খালে জাল টেনে খোঁজা হচ্ছে লাশের টুকরো : তদন্তে নেমে কলকাতা সিআইডি চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ সব তথ্য পাচ্ছে। সেখানে গ্রেপ্তার করা কসাই জিহাদকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তিনি শাহীনের সোনা চোরাচালান চক্রের সদস্য। মাংস কাটতেও দক্ষ। মুম্বাইয়ে কসাইয়ের দোকানে কাজ করেন মাঝেমধ্যে। জিহাদ এর আগে বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার ধরা পড়ে জেলও খেটেছেন। মাস পাঁচেক আগে চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। মুম্বাইয়ে থাকলেও জিহাদের সঙ্গে শাহীনের যোগাযোগ ছিল। জিহাদ মরদেহ কাটতে রাজি হওয়ার পর তাকে চিনারপার্কে এনে একটি বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন শাহীন। ১০ দিন আগে সিয়াম কিনে ফেলেন হাতুড়ি, মাংস কাটার ছুরি এক বস্তা ব্লিচিং, হলুদ, রাসায়নিক ও কয়েক ডজন গ্লাভসের প্যাকেট। খুনের দিন তিনি এগুলো নিয়ে নিউটাউনে হাজির হন। ওই ছুরি দিয়েই এমপি আনারের দেহ টুকরো টুকরো করেন জিহাদ। তার সঙ্গে ভারতের এক কসাই ছিল। আনারকে হত্যা করার পর তার দেহ ৮০ টুকরো করা হয়েছিল। মাথা দুই ভাগ করে কিমা করে কসাই জিহাদ। তারপর দেহাংশে মেশানো হয় রাসায়নিক, ব্লিচিং ও হলুদের গুঁড়া। সেগুলো আলাদা আলাদা প্যাকেটে ভরেছিল জিহাদ ও তার সহযোগী সিয়াম। তারপর দেহাংশ প্যাকেটে ভরে চালান করা হয়। আবার কিছু অংশ ফ্ল্যাটের বাথরুমের কমোডে ফেলে দেওয়া হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শাহীনের নির্দেশেই এভাবে আনারের মাথা টুকরো টুকরো করা হয়, যাতে মাথার কারণে আনারের পরিচয় জেনে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে না যায়। এ নিয়ে তারা আলোচনাও করেছিলেন। পরে নিজেরা আলোচনাও করেছেন। এরই মধ্যে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া টেলিফোনে শাহীনের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরামর্শে মাথাটি দুই ভাগ করা হয়। একপর্যায়ে কিমা বানিয়ে ফেলেন তারা।
আনারের খণ্ডিত লাশ খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। কসাই জিহাদকে সঙ্গে নিয়ে দুদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করা হচ্ছে। ভাঙ্গড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় একটি খালে লাশের অংশগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা চালায়। খালে জাল টেনেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে কাক্সিক্ষত ফলাফল আসছে না বলে জানিয়েছেন সিআইডির এক কর্মকর্তা। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা বাগজোলা খালের পানিতে নামানো হয় কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের। তারপরও খুঁজে পাওয়া যায়নি লাশের টুকরো। নৌকা ও জাল দিয়ে চেষ্টা চলছে। সিআইডির আশঙ্কা, আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।
মরদেহ পাশে রেখে বিরানি খায় খুনিরা : কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকা সঞ্জিভা গার্ডেনের অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে ১৩ মে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আনার। হত্যার পর শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরো টুকরো করার পরও ঘাতকদের মাঝে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো তারা লাশ পাশে রেখেই বিরানি খেয়েছেন, মদ পান করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, হত্যার পর আনারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমে নেওয়া হয়। সেখানেই টুকরো টুকরো করা হয় তাকে। বাথরুমে যেন হত্যার কোনো আলামত না থাকে, সে জন্য পানি এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পরিষ্কার করা হয়। তা ছাড়া রক্তের যেসব ছোপ ছোপ দাগ রুমে লেগেছিল, সেগুলো মুছে ফেলতে পুরো ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করা হয়।
১১ মাসের জন্য নেওয়া হয় ফ্ল্যাট ভাড়া : মাস দুয়েক আগে শাহীন আমেরিকান নাগরিক পরিচয়ে কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় মাসে এক লাখ রুপিতে ফ্ল্যাটটি ভাড়া করেন। এ জন্য একটি চুক্তিনামা করেন শাহীন। ওই ফ্ল্যাটের মালিক একজন সরকারি কর্মকর্তা। ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় তিন মাসের আগাম ভাড়াও দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশ ফ্ল্যাটের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ বিষয়ে কলকাতার সিআইডি সাংবাদিকদের জানায়, ফ্ল্যাটের ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে হলে আগে রেজিস্টার খাতায় নাম-পরিচয় লিখতে হয়। কিন্তু আনারের ঘটনায় কেউ রেজিস্টার বইয়ে নাম-পরিচয় লেখেননি। ওই সময় যেসব সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিউ টাউনের ওই এলাকাটি কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়। এত নজরদারির মধ্যে কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারত যাচ্ছে ডিবির টিম : আনার হত্যার ঘটনায় তদন্ত করতে ডিএমপি ডিবির তিন সদস্যের দল গতকাল রাতে বা আজ রবিবার সকালে কলকাতায় যাবে। টিমটির নেতৃত্ব দেবেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন ডিবির একটি টিম যেন ভারতে যায়। এ জন্য আমাদের জিও (সরকারি আদেশ) হয়ে গেছে। তিন থেকে চার দিন কলকাতায় থাকা হতে পারে।’