তজুমদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় প্রভাবে জোয়ারের পানি ডুকে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দুই ইউনিয়নে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সেলিম রেজা, তজুমদ্দিন ( ভোলা) প্রতিনিধী। ভোলা তজুমদ্দিনে নদীর তীর থেকে সড়কের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সুবিধার জন্য জিও ব্যাগ বেষ্টিত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ কেটে ট্রাক চলাচলের রাস্তা বানালেন এক ঠিকাদার। বেড়িবাঁধ কাটার ফলে চলমান ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জোয়ারের পানি ডুকে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
চাঁদপুর ও চাচড়া ইউনিয়নের শতশত মানুষের
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁধ পর্যবেক্ষণে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা এ বিষয়ে আরো জানান,স্থানীয় এক ঠিকাদার গুরিন্দা বাজার মৎস্য ঘাটের সামনের পাকা রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করে দুই মাস আগে। নদী পথে কাজের মালামাল পরিবহনের জন্য ঠিকাদারের লোকজন জিও ব্যাগ বেষ্টিত ওয়াপদা বেড়িবাঁধ কেটে প্রায় ২৫-৩০ ফুট ক্রসিং রাস্তা তৈরি করে। যাতে নদীর তীর হতে ট্রাকযোগে বালি, পাথর সহ অন্যান্য ঠিকাদারি মালামাল পরিবহন করেন তারা। বাঁধ কাটার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে বাধা দেন। পরে কাজ শেষে পুনরায় বাঁধ নির্মান করে দেয়ার কথা বললেও তারা তা করেননি।
কিন্তু গত ১৫ দিন আগে পাকা রাস্তা নির্মানের কাজ শেষ হলেও বেড়িবাঁধ এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে। স্থানীয় বাসিন্দা নুরনবী জানান, সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাবে। ৬-৮ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে চাদপুর ইউনিয়নের ৬, ৮ ও ৯ এবং চাচড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা আছে।
গুরিন্দা বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, পরবর্তীতে এই বাঁধ নির্মান করা হলেও তা আগে মতো টেকসই হবেনা। ঘুর্ণিঝড়ের তীব্র ও অতি জোয়ারের চাপে বা অধিক বৃষ্টিপাত হলেই বাঁধ ছিড়ে যেতে পারে। তাছাড়া এখানকার বাঁধের জিও ব্যাগগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এরফলে পুরো প্রকল্পের কাঙ্খিত স্থায়িত্ব নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
ঠিকাদারির অংশীদার ফজলুল হক পাটওয়ারীর কাছে বাঁধ কাটার বিষয় জানতে চাইলে বলেন, সড়কের নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সুবিধার জন্য বেঁড়ীবাধের কিছু অংশ কাটা হয়েছিল, আমরা তা পুনরায় ঠিক করে দিবো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপসহকারী প্রকৌশলী জহির রায়হান জানান, বাঁধ কাটে যাতায়াতের রাস্তা বানানোর বিষয়টি তিনি জানেন না, তবে অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করবেন। তিনি আরো জানান, এতে বাধের টেম্পারেচার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই বাঁধটি চার বছর আগে নির্মিত হওয়ায় বাঁধের জিও ব্যাগ ও মাটি এখন শক্ত ও মজবুত হয়ে গেছে। নতুন মাটি দিলেও বাঁধ আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ে কিছুটা ঝুঁকি থাকবে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম বলেন, তিনি ঘটনা শুনে সরেজমিন এসে বাঁধের এই অবস্থা দেখেছেন। পরে তিনি দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।