ছাত্রদল নেতা উজ্জলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে নিন্দার ঝড়

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী দোসর আন্দলে রাজপথের লড়াকু সৈনিক ছাত্রদল নেতা উজ্জলের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট কল্পকাহিনী সাজিয়ে অপপ্রচারে নিন্দার ঝড় যাচ্ছে সোস্যাল মিডিয়াতে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্র ঘোষিত যে কোন আয়োজনে যে  সর্বোচ্চ সরব উপস্থিতি। বিগত দিনে হরতাল-অবরোধ ও বিক্ষোভের মত রাজপথের কর্মসূচী গুলোতে ও সিনিয়র নেতাদের মন জয় করে নেন উজ্জল। আওয়ামীগ সরকারের ক্ষমতা আমলে স্বীকার হয়েছেন একাধিক বার হামলার।

ষড়যন্ত্র ও জনপ্রিয়তা দেখে ক্ষমতাশীল আ,লীগের নেতা-কর্মীরা দিয়েছেন ডজেন খানেক রাজনৈতিক মামলা আসামী বানিয়ে। কারাবরণ করেছেন ১০-১২ বারের মত। বলছিলাম সদ্য সাবেক নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও নোয়াখালী শহর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বলের জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব কথা গুলো।

পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উজ্জ্বল। ছোটকাল থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস এবং ভালোবাসা লক্ষ্য করেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ । বুঝ হওয়ার পর থেকে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

নোয়াখালী শহরের দক্ষিনাঞ্চল ঘুরে দেখা গেলো তৃনমুল থেকে সকল পর্যায়ের জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। সবার নিকট এক নামেই পরিচিত ছাত্রদল নেতা উজ্জল। সাম্প্রতিক বন্যাতে সে ছিলেন মানুষের হৃদয়ের মাঝে। দিনেরাতে সমানতালে বিতরণ করেছেন ত্রাণসামগ্রী। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের টিমের সাথে ত্রানকার্যক্রমে উপিস্তিত ছিলেন।

দলের দুঃসময়ে সোনাপুর কেন্দ্রীক হরতাল অবরোধে তিনি ছিলেন সরব।

আওয়ামী হামলায় মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছিলেন একাধিকবার। সর্বোপরী রাজনৈতিক এক্টিভিটি ও এলাকার জনপ্রিয়তা ই বারবার তাকে হামলার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০-৯-২০২৪ ইং তারিখ বিকালবেলা আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় তিনি তার বাড়ির সামনে সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে চায়ের আড্ডাতে বসে ছিলেন।  তার সাথে তৃণমূলের ব্যাপক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই জনসমর্থন কে মেনে নিতে না পেরে প্রতিহিংসার আগুনে তার উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে বার বার । কুপিয়ে জখম করা হয় উজ্জল সহ তার সাথে থাকা আরো ৮-১০ জন কে নেতা কর্মীকে। তাৎক্ষণিক দলীয় সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে প্রত্যেক কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করা হয় । হামলায় ৪১ টি সেলায় করা লাগে আহত হওয়া রুবেলের। আহত রুবেল  ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য ছিলো। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ন্যাক্কারজনক এই হামলার ইন্ডাইরেক্টলি নোয়াখালী শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাজিবের যোগসাজশ রয়েছে। যদিও সজিব বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।

এই বিষয়ে হামলায় আহত নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, কিছুদিন আগে শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সজিবের নেতৃত্বে আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যে  অচেনা একটা ছেলে কে তারা মেরে আমার বিরুদ্ধে একটা ভিডিও ক্লিপ সাজায়। অথচ সে ছেলে আমাকে চিনেও না আমিও তাকে চিনিনা।

পরবর্তী  আমি তার কাজে বিষয়টি জানতে চাইলে সে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তাকে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ  জোরপূর্বকভাবে ভিডিও ক্লিপটি ধারণ করতে বাধ্য করেছেন। এরপর উক্ত ভিডিও ক্লিপটি প্রমাণসহ  আমি দলীয় হাইকমান্ড কে পাঠিয়েছি। যার সত্যতা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ  আপনারা যাচাই-বাচাই করতে পারেন। তাছাড়াও সরাসরি যারা আমাদের উপর হামলা করেছে তারা সবাই সজিবের সাথে রাজনীতি করে বলেও নিশ্চিত করে উজ্জল।

উজ্জল আরো বলেন, শহর ছাত্রদলের কমিটি তে আমি তার সাথে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। আমি এই হামলার বিচার চাই। তৃণমূলের একজন নির্যাতিত কর্মী হিসেবে, দলের দুঃসময়ে নিজের জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছি।

২৮ শে অক্টোবর ঢাকাতে এবং পরবর্তী সময়ে আমার নিজ এলাকায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম।

প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে ও ছিলাম কয়েক বার। এখনো যদি আমরা হামলার স্বীকার হতে হয় তবে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।

 জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কে অবহিত করেছি সকল ঘটনা। আহত পরবর্তী চিকিৎসা ও সবধরনের সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও আমাদের শ্রদ্ধেয় সাবেক সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহান এমপি মহোদয়ের প্রতি।

উনাকে বিষয় টি সম্পুর্নভাবে অবগত রয়েছেন উনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরন জানান,  বিষয় টি জেনেছি এবং উজ্জ্বল সহ আহত সবাই কে আমি দেখতে গিয়েছি। বিষয় টি আসলে দুঃখজনক।

উজ্জ্বল থেকে বিস্তারিত সব শুনেছি। ওরা পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর বিষয় টা নিয়ে আমরা বসলে আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। আমি সবার প্রতি অনুরোধ রাখবো রেষারেষি না করে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।