শ্রীমঙ্গলে চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি উদ্ধারের নামে এক আসহায় নারীর টাকা আত্মসাৎ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি আটোরিক্স্রা উদ্ধারের নামে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক কতৃক নেতা এক অসহায় নারীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে উপজেলার শংকরসেনা এলাকার মৃত রাজা মিয়ার মেয়ে লাইলি বেগম (৩৮) এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, তার কিস্তিতে কিনা ৬ লক্ষ টাকার একটি সিএনজি গত বছরের ১৮ আক্টোবর চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি তিনি প্রথমে উপজেলার উদনাপার এলাকার আব্রুজ মিয়ার ছেলে ও সিএনজি উপজেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন তুর্কিকে (৫০) জানান। তখন তিনি আমাকে জানান,একটি চোর চক্র আছে তারা সিএনজি চুরি করে,তিনি আমার সিএনজিটি তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিতে পারবেন। এভাবে অনেক চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি তিনি চোর চক্রের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিয়েছেন অন্য মালিকদের। তিনি শর্ত দেন আমার চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি এর ব্যাপারে আমি যেন থানায় কোন অভিযোগ না করি। তাহার কথা মত আমি পুলিশের নিকট কোন অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকি। এসময় সালাউদ্দিন তুর্কির সাথে আরও যোগ দেন সুরমা ভেলী এলাকার রজব আলীর ছেলে ও আব্দুল্লা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আব্দুল্লা (৫২) ও হবিগঞ্জ রোড সিএনজি ২৩৫৯ গ্রুপ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো: কাইয়ুম মিয়া। এসময় তারা চোর চক্রের সাথে দেখা করতে হবিগঞ্জ যেতে হবে বলে তার নিকট থেকে গাড়ী ভাড়া ও চোরদের চা নাস্তা খাওয়াতে হবে বলে পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে নেন। পরের দিন তারা আমাকে জানান আমার সিএনজিটি পাওয়া গেছে,তবে চোর চক্র নাকী তিন লক্ষ টাকা দাবী করেছে। তিনি ধার-দেনা ও সুদ করে বিগত বছরের ২৮ অক্টোবর তারিখে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিকট নিকট নগদ দুই লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এসময় সালরাউদ্দিন তুর্কি তার নিকট থেকে সিএনজির চাবি ও ডকুমেন্ট নিয়ে যান। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা সিএনজি ও টাকা কোন কিছুই ফেরত দেন নাই। এ বিষয়ে একাধিক শালিশ বৈঠক ও থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ করলেও তিনি কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। এদিকে সিএনজির কিস্তি চালাতে ও সুদের টাকা পরিশোধ করতে বাড়ী বিক্রি করেও তার ঋণ শেষ হচ্ছে না বলে জানান। এ ব্যাপারে পরিবহ শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন তুর্কি নিজ হাতে গুণে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সিএনজি উদ্ধারের কথা বলে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও,চোর চক্র টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং লাইলি বেগমের ভাই টাকা দিয়েছে বলে দায় অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গলর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ এর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত সহায়তা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে লাইলি বেগমের দুই মামাত বোন শিক্ষানবিস আইনজীবি সুফিয়া বেগম ও রওশনরা উপস্থিত ছিলেন।