বুধবার, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

সদ্য সংবাদ:

সুবর্ণচরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ১৮ দোকানে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ২০ কোটি

সুবর্ণচরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড  ১৮ দোকানে ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ২০ কোটি

 নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার প্রধান কয়েকটি বাণিজ্যকেন্দ্রের মধ্যে ২নং চরবাটা ইউনিয়নের  চরমজিদ ভূঞারহাট অন্যতম একটি। ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রবিবার  (১৯ জানুয়ারি) ভোর রাতের দিকে ভূঞারহাট বাজার জিরো পয়েন্ট, দক্ষিন বাজার এমপি মার্কেট সংলগ্ন এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় বাজার পাহাদার জয়নাল জানান, রাতে জিরো পয়েন্টে কাইয়ুম মোটর এন্ড পার্টসের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয় লোকজন। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে এলেও আগুন দ্রুত পুরো দক্ষিনের দোকান গুলোর দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে  স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এরপর সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

কিন্তু এর আগেই আগুনে মার্কেটের হুন্ডা গ্যারেজ, মুদি গোডাউন, ঔষুদের দোকান, রুচিকা ব্রেড গুদাম, যমুনা ইলেকট্রিকের অস্থায়ী গুদাম, মা জননী ইলেকট্রনিকসসহ অন্তত ১৮টি দোকান পুড়ে যায়।

এতে দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ টাকা পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। ব্যবসায়ীদের দাবি কমবেশি প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দোকানিরা।

আগুনে পুড়ে যাওয়া কাইয়ুম মোটর এন্ড পার্টসের  স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম উদ্দিন জনি জানান, আগামীকাল সকালে আমি ব্যাংকে টিটি করবো মেঘনা গ্রুপের পুষ্টি তেল, সজীব গ্রুপ, প্রাণ আরএফএল সহ কয়েকটি কোম্পানীর একাউন্টে আমার ডিলার পয়েন্ট তোতার বাজার গুদামে মালের জন্যে। তাই দোকানে রাতেই নগদ ২৪ লক্ষ টাকা ক্যাশ এনে রেখেছি ।

হঠাৎ খবর পেলাম আগুন লেগেছে। দোকানের সামনে এসে দেখি আমার সব পুড়ে ছাই। সুবর্ণচরের দক্ষিন অঞ্চলে আমার দোকানটি বৃহত্তর মোটর পার্টস্  পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র। দোকানটিতে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো মালামালে ভর্তি ছিলো। আমি শেষ হয়ে গেলাম।

অগ্নিকাণ্ডে মা জননী  ইলেকট্রনিকস এন্ড পার্টস দোকানের মালিক কাজল বলেন, এখানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা মালামাল বিক্রি করে।

অনেকগুলো দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

যমুনা শোরুমের মালিক জাকের ও সোহেল স্টোরের মালিক সোহেল জানান, আমাদের গুদামের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুন লেগেছে। আর গ্যাস সিলিন্ডার ও মবিল অকটেন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরনবী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত  ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানো  জন্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে এবং কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের জানামতে অগ্নিকাণ্ডে ১৮টি দোকান পুড়েছে তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।

বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন