বুধবার, ৪ঠা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ -muktinews24(তথ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিবন্ধনকৃত, রেজি নং-৩৬)

গাইবান্ধায় চীনের সহায়তায় ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চাই

গাইবান্ধায় চীনের সহায়তায় ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চাই
গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালুয়া বাজার এলাকায় পার্বতীপুর মৌজায় ১০.৩৩ একর জমিতে অবস্থিত রামচন্দ্রপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
পল্লীর অসহায় জনগণের চিকিৎসার জন্য ১৯৬২ সালে  একটি প্রকল্পের আওতায় ১০ বেডের এই হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়। সে সময় ওই হাসপাতালে দুজন চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে ২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার পর আর কোনো সরকার এদিকে তেমন নজর দেয় নাই, যার ফলে খুব ধীর গতিতে চলতে থাকে এর কার্যক্রম। ২০০৭/২০০৮ অর্থ বছরে রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত  হয়। এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়ে আছে।
পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একাংশসহ সদর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে গত কয়েক বছর ধরে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এখানে প্রতি বছর প্রায় ২/৩ লাখ টাকার পথ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখনও কয়েকজন কর্মকর্তা এখানে দায়িত্বের নামে বহাল রয়েছে।
তাদের মধ্যে অধিকাংশ ডেপুটেশনে রয়েছে। হাসপাতালের কার্যক্রম না থাকা স্বত্ত্বেও এসব স্টাফ কেন এখানে নিয়োজিত রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অন্যদিকে, হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামো দীর্ঘদিন অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকায় সেগুলোর এখন জরাজীর্ণ দশা। হাসপাতালের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র চুরিও হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রায় জন শূণ্য অবস্থার কারনে হাসপাতালের এলাকাটি রাতে পরিণত হয় সমাজবিরোধী লোকজনের আড্ডাখানায়। এখানে হাসপতাল সচল না থাকায় রামচন্দ্রপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বহুদিন থেকে অযত্ন অবহেলায় ৩১ বিঘা জমি পরে আছে। সীমানা প্রাচীর অনেকটাই ভঙ্গুর হয়েছে। এ দিকে গতকাল ১৩/০৪/২০৫ইং জাতীয় গণমাধ্যম যমুনা টিভির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, চীনের সহায়তায় রংপুরের তিস্তা পাড়ে  ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপতাল নির্মাণের জন্য ভুমি খুঁজছে, যা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বক্তব্যে উঠে এসেছে।
গাইবান্ধাবাসী পক্ষথেকে জোরালো দাবী জানাচ্ছি যে,  বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ আছে। রংপুরে মেডিকেল কলেজ আছে। দিনাজপুরে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট আছে এবং দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও আছে। নিলফামারী ও সৈয়দপুরে বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে। এসব জেলার মানুষ সহজে চিকিৎসা নিতে পারছে।
অথচ গাইবান্ধায় উল্লেখ্যযোগ্য কোন প্রতিষ্ঠান নাই।
আমরা চাই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস সু-নজর দিবেন, গাইবান্ধা বাসি ৫৩ বছর ধরে বৈশম্যের শিকার হয়ে আসছে। আর রংপুরে নয়, চীনের উপহার চাই গাইবান্ধায়। আমাদের ভূমি আছে,আমাদের অবকাঠামো আছে,আমাদেরকে আর বঞ্চিত নয়, এবার আমাদের জন্য চিনের এই উপহার হতে পারে আর্শীবাদ।
গাইবান্ধা বাসি আমরা উপরে উল্লিখিত রামচন্দ্রপুর পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চীনের ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পুণস্থাপন করে ১৯৬২ সালের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা।
বিভাগ
শেয়ার করুন

মতামত লিখুন